বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম এবং রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ব্যবহার করতে চাইলে উড্ডয়নের অন্তত ৪৫ দিন আগেই বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রতি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
আজ সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা (স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও, গবেষণা প্রতিষ্ঠান) বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন।
“এ সকল অননুমোদিত উড্ডয়নের ফলে নিয়মিত উড্ডয়নকারী বিভিন্ন অনুমোদিত যাত্রীবাহী দেশি-বিদেশি বিমান, হেলিকপ্টার এবং দ্রুতগতি সম্পন্ন সামরিক বিমানের সাথে আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে”।
আইএসপিআর-এর বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে বর্তমানে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রতি ঝুঁকি বলে বিবেচিত হচ্ছে এবং বাংলাদেশে বিদ্যমান আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
নির্দেশনায় বলা হয়, “কোন ব্যক্তি, সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (UAV/RPAS), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান ইত্যাদি উড্ডয়নের নূন্যতম ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পূর্বে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েব সাইটে প্রদত্ত নির্ধারিত ফরম অনুযায়ী লিখিত পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।”
এর আগে ২০১৯ সালের অগাস্টে ঢাকায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছিলো পুলিশ। তখন ঢাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলো, কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিনোদনের জন্যে বা ছবি ধারণের জন্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বিভিন্ন ড্রোন উড়িয়ে থাকেন, যা দণ্ডনীয় অপরাধ।