রাজবাড়ীতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে পদ্মা নদী। পদ্মার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হবার কারণে জেলার ৩টি উপজেলার প্রায় ৪৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পদ্মার প্রবল স্রোতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নৌযান চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পদ্মার প্রবল স্রোতে জেলার সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ী এলাকায় রাজবাড়ী শহররক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে ১০৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি হলে দুপুরের পানি বৃদ্ধির তথ্য জানাতে পারেনি রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইলসাম বলেন, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১০ হাজার পরিবারে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানিবন্দি এসব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রসহ রাস্তার দু’পাশে অবস্থান করছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো. সাঈদুজ্জামান খান বলেন, রাজবাড়ীর বরাট এবং মিজানপুর ইউনিয়নে ১ হাজার পরিবারে প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
এছাড়া পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পাংশাতে ২৫০টি পরিবারে প্রায় ৯০০ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের চরম সংকট রয়েছে বলে জানায় বন্যায় আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা।
রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম শেখ জানান, বরাটের একটি জায়গায় শহররক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে কাজ করে যাচ্ছে। বাঁধ ভেঙে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পানি উন্নয়নে বোর্ডের এ কর্মকর্তা বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করার ফলে ঝুঁকি কমেছে।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ১৩০ মেট্রিক টন চাল, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ত্রাণ বিতরণ কাজ শুরু করেছে।