দেশের বড় শহরগুলোতে পশুর হাট না বসানোর সুপারিশ

  • Update Time : ০৭:০৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
  • / 188
কোরবানি উপলক্ষে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে কোরবানির হাট না বসানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
.

শুক্রবার (১০ জুলাই) পরামর্শ কমিটির ১৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় আট দফা সুপারিশ করে কমিটি। করোনা সংক্রমণ পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের চার বড় সিটিতে পশুর হাট না বসানোর সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে, অনলাইনে সরকারের পক্ষ থেকে পশু কেনাবেচার পরামর্শ দেয়া হয়। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্থান ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে সুপারিশ করা হয়েছে। আর পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের কাউকে পশুহাটে না যাবার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, সরকার হাট না বসানোর কথা জানালে সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। আর, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, যেসব সুপারিশ পরামর্শক কমিটি দিয়েছে তা কয়েকদিন আগে থেকেই বাস্তবায়ন শুরু করেছেন তিনি। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম সিটির দুই মেয়র জানিয়েছেন তারা তাকিয়ে আছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দিকে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি অন্যান্য শহরেও হাট বসাতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে করোনার কারণে এরই মধ্যে পশুর হাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। হাটের সংখ্যা এবং পরিসর কমবে সারা দেশেই। তারপরও অনেকেই হাটের মত জনাকীর্ণ জায়গায় যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে চাইবেন। এসব বিষয় মাথায় রেখেই এবছর অনলাইন পশুর হাট আরও জমজমাট হচ্ছে। অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলো এরইমধ্যে তাদের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা গতবারের কয়েকগুণ ঠিক করেছে।

শুধু পশু বিক্রিই নয়, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি করে দেয়ারও অফার দিচ্ছে বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল। কিন্তু প্রান্তিক কৃষক ও খামারিরা ঠিকমতো জানেন না অনলাইন পশু হাটের কথা। তবে খামারিরা যেন সহজেই তাদের পশু অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন সেজন্য সরকারিভাবেও নেয়া হচ্ছে নানা ব্যবস্থা। আইসিটি বিভাগ সারা দেশেই চালু করছে অনলাইন হাটের। কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন করতেও নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এছাড়া প্রাণিসম্পদ অফিসগুলোও এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দেশের বড় শহরগুলোতে পশুর হাট না বসানোর সুপারিশ

Update Time : ০৭:০৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
কোরবানি উপলক্ষে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে কোরবানির হাট না বসানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকার গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
.

শুক্রবার (১০ জুলাই) পরামর্শ কমিটির ১৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় আট দফা সুপারিশ করে কমিটি। করোনা সংক্রমণ পর্যবেক্ষণের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের চার বড় সিটিতে পশুর হাট না বসানোর সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে, অনলাইনে সরকারের পক্ষ থেকে পশু কেনাবেচার পরামর্শ দেয়া হয়। পশু কোরবানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্থান ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে সুপারিশ করা হয়েছে। আর পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের কাউকে পশুহাটে না যাবার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, সরকার হাট না বসানোর কথা জানালে সেই পরিপ্রেক্ষিতেই নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। আর, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, যেসব সুপারিশ পরামর্শক কমিটি দিয়েছে তা কয়েকদিন আগে থেকেই বাস্তবায়ন শুরু করেছেন তিনি। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম সিটির দুই মেয়র জানিয়েছেন তারা তাকিয়ে আছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের দিকে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি অন্যান্য শহরেও হাট বসাতে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে করোনার কারণে এরই মধ্যে পশুর হাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। হাটের সংখ্যা এবং পরিসর কমবে সারা দেশেই। তারপরও অনেকেই হাটের মত জনাকীর্ণ জায়গায় যাওয়ার ঝুঁকি এড়াতে চাইবেন। এসব বিষয় মাথায় রেখেই এবছর অনলাইন পশুর হাট আরও জমজমাট হচ্ছে। অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলো এরইমধ্যে তাদের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা গতবারের কয়েকগুণ ঠিক করেছে।

শুধু পশু বিক্রিই নয়, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি করে দেয়ারও অফার দিচ্ছে বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল। কিন্তু প্রান্তিক কৃষক ও খামারিরা ঠিকমতো জানেন না অনলাইন পশু হাটের কথা। তবে খামারিরা যেন সহজেই তাদের পশু অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন সেজন্য সরকারিভাবেও নেয়া হচ্ছে নানা ব্যবস্থা। আইসিটি বিভাগ সারা দেশেই চালু করছে অনলাইন হাটের। কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন করতেও নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এছাড়া প্রাণিসম্পদ অফিসগুলোও এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে।