দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু

  • Update Time : ০৯:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
  • / 142
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনসহ গান্ধী পরিবারের আরও দু’টি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে এ বার তদন্ত শুরু করেছে।

বুধবার (৮ জুলাই) দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে আর্থিক গরমিলের অভিযোগের তদন্ত শুরু হচ্ছে। তদন্তে সমন্বয়ের জন্য ইতিমধ্যেই একটি অভ্যন্তরীণ কমিটিও গঠন করে ফেলেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রলায়ের বরাতে জানায়, আয়কর, বিদেশি অনুদান বা অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনকে ফাঁকি দিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তকারী দলের প্রধান থাকবেন দেশটির দুর্নীতির বিরোধী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্পেশাল ডিরেক্টর। মন্ত্রণালয়ের তরফে টুইট করেও এ কথা জানানো হয়েছে। অর্থাৎ দেশি বা বিদেশি অনুদান নেওয়ার ক্ষেত্রে গান্ধী পরিবারের এই তিন ট্রাস্টে কোনও গরমিল বা বেনিয়ম হয়েছে কি না, সেগুলিই তদন্তের আওতায় আসবে।

কংগ্রেস গোড়া থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও তদন্তের সিদ্ধান্তের পর এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সরকারি অর্থ রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্টে দেওয়ার অভিযোগে বেশ কিছু দিন ধরেই সরব বিজেপি। অন্য দু’টি ট্রাস্টেও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে দেশটির শাসক শিবির। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, ইউপিএ জোট ক্ষমতায় থাকার সময়  প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অনুদানের বন্দোবস্ত করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।

বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এ নিয়ে বলেছেন, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল। কিন্তু সেই তহবিল থেকে ইউপিএ জমানায় রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে অনুদান দেওয়া হয়েছে।

সরাসরি কংগ্রেস সভানেত্রীর দিকে তীর ছুঁড়ে বিজেপি সভাপতির তোপ, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল বোর্ডের চেয়ারে কে ছিলেন— সোনিয়া গান্ধী। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের চেয়ারে কে— সোনিয়া গান্ধী। অত্যন্ত নিন্দনীয়, নীতিহীন এবং স্বচ্ছতার তোয়াক্কা করা হয়নি।

রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এ ছাড়াও বোর্ডে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মনমোহন সিংহ ও পি চিদম্বরম। ফলে অভিযোগের আঙুল মূলত গান্ধী পরিবারের দিকে।

তবে কংগ্রেসের তরফে বারবারই এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের নেতারা পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, করোনাভাইরাস, চীনের আগ্রাসন ঠেকাতে ব্যর্থ বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের নজর ঘোরাতেই এই সব অভিযোগ তুলছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু

Update Time : ০৯:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনসহ গান্ধী পরিবারের আরও দু’টি ট্রাস্টের বিরুদ্ধে এ বার তদন্ত শুরু করেছে।

বুধবার (৮ জুলাই) দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে আর্থিক গরমিলের অভিযোগের তদন্ত শুরু হচ্ছে। তদন্তে সমন্বয়ের জন্য ইতিমধ্যেই একটি অভ্যন্তরীণ কমিটিও গঠন করে ফেলেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রলায়ের বরাতে জানায়, আয়কর, বিদেশি অনুদান বা অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনকে ফাঁকি দিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তকারী দলের প্রধান থাকবেন দেশটির দুর্নীতির বিরোধী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্পেশাল ডিরেক্টর। মন্ত্রণালয়ের তরফে টুইট করেও এ কথা জানানো হয়েছে। অর্থাৎ দেশি বা বিদেশি অনুদান নেওয়ার ক্ষেত্রে গান্ধী পরিবারের এই তিন ট্রাস্টে কোনও গরমিল বা বেনিয়ম হয়েছে কি না, সেগুলিই তদন্তের আওতায় আসবে।

কংগ্রেস গোড়া থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করলেও তদন্তের সিদ্ধান্তের পর এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সরকারি অর্থ রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্টে দেওয়ার অভিযোগে বেশ কিছু দিন ধরেই সরব বিজেপি। অন্য দু’টি ট্রাস্টেও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে দেশটির শাসক শিবির। তারমধ্যে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, ইউপিএ জোট ক্ষমতায় থাকার সময়  প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অনুদানের বন্দোবস্ত করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।

বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এ নিয়ে বলেছেন, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল। কিন্তু সেই তহবিল থেকে ইউপিএ জমানায় রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনকে অনুদান দেওয়া হয়েছে।

সরাসরি কংগ্রেস সভানেত্রীর দিকে তীর ছুঁড়ে বিজেপি সভাপতির তোপ, প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল বোর্ডের চেয়ারে কে ছিলেন— সোনিয়া গান্ধী। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের চেয়ারে কে— সোনিয়া গান্ধী। অত্যন্ত নিন্দনীয়, নীতিহীন এবং স্বচ্ছতার তোয়াক্কা করা হয়নি।

রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এ ছাড়াও বোর্ডে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মনমোহন সিংহ ও পি চিদম্বরম। ফলে অভিযোগের আঙুল মূলত গান্ধী পরিবারের দিকে।

তবে কংগ্রেসের তরফে বারবারই এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের নেতারা পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, করোনাভাইরাস, চীনের আগ্রাসন ঠেকাতে ব্যর্থ বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের নজর ঘোরাতেই এই সব অভিযোগ তুলছে।