রাবির ৪ প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ঘিরে রেখেছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা

  • Update Time : ০৩:৩৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১
  • / 188

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মস্থলে যোগদানের স্থগিতাদেশ তুলে না নেয়ায় উপাচার্যসহ (রুটিন দায়িত্ব) প্রশাসনের চার কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে অবরুদ্ধ ছিলেন তারা।

সোমবার (৩১ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে অবস্থান নেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।

এর আগে একইদিন বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের উপাচার্য ডিনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এসময় কর্মস্থলে যোগদানের দাবি জানালে ডিনরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে উপাচার্যসহ চার কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।

অবরুদ্ধরা হলেন, অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম।

নিয়োগপ্রাপ্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজ আল আমিন বলেন, গত ৬ মে যোগদান করেছি। তবে যে দফতর বা বিভাগে নিয়োগ পেয়েছিলাম সেখানে পদায়ন হঠাৎ স্থগিত করা হয়। এতদিন ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। এজন্য আমরা যোগ দিতে আসিনি। এখন কাজে যোগ দিতে এলে রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য বলছেন মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু স্থগিতাদেশের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি তিনি। পরে বলেছেন মৌখিকভাবে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যোগ দিয়েছি ভ্যালিড কাগজপত্রে। মৌখিক নিষেধাজ্ঞায় যোগদান বন্ধ থাকতে পারে না। তাই আমরা যোগদানের দাবিতে অবরুদ্ধ করেছি তাদের।

রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার ওপর মন্ত্রণালয় এ নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় পদায়ন সম্ভব নয়।

Please Share This Post in Your Social Media


রাবির ৪ প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে ঘিরে রেখেছেন নিয়োগপ্রাপ্তরা

Update Time : ০৩:৩৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা কর্মস্থলে যোগদানের স্থগিতাদেশ তুলে না নেয়ায় উপাচার্যসহ (রুটিন দায়িত্ব) প্রশাসনের চার কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অবস্থিত উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে অবরুদ্ধ ছিলেন তারা।

সোমবার (৩১ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে অবস্থান নেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।

এর আগে একইদিন বেলা ১১টার দিকে উপাচার্য সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের উপাচার্য ডিনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এসময় কর্মস্থলে যোগদানের দাবি জানালে ডিনরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে উপাচার্যসহ চার কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন নিয়োগপ্রাপ্তরা।

অবরুদ্ধরা হলেন, অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল আরিফ ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম।

নিয়োগপ্রাপ্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজ আল আমিন বলেন, গত ৬ মে যোগদান করেছি। তবে যে দফতর বা বিভাগে নিয়োগ পেয়েছিলাম সেখানে পদায়ন হঠাৎ স্থগিত করা হয়। এতদিন ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। এজন্য আমরা যোগ দিতে আসিনি। এখন কাজে যোগ দিতে এলে রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য বলছেন মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু স্থগিতাদেশের কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি তিনি। পরে বলেছেন মৌখিকভাবে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যোগ দিয়েছি ভ্যালিড কাগজপত্রে। মৌখিক নিষেধাজ্ঞায় যোগদান বন্ধ থাকতে পারে না। তাই আমরা যোগদানের দাবিতে অবরুদ্ধ করেছি তাদের।

রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার ওপর মন্ত্রণালয় এ নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এ অবস্থায় পদায়ন সম্ভব নয়।