যে কারণে ইফতারের পর শরীর দুর্বল লাগে

  • Update Time : ০২:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১
  • / 394

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পর শরীর চাঙা হবার কথা। কিন্তু অনেকেরই ইফতারের পর শরীর ছেড়ে দেয়। অর্থাৎ আরো বেশি ক্লান্ত লাগে। কিন্তু কেন এমন হয়?

খাওয়ার পর সেই খাবারকে বিভক্ত করে লিভারের কাছে পৌঁছে দিতে অন্ত্রের অনেক বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়, যে কারণে রক্তের ওপর বেশি চাপ পরে৷ ফলে তখন রক্তচাপ কমে গিয়ে শরীর ক্লান্ত বোধ করে এবং ঘুম পায়৷

অনেক সময় টানা না খেয়ে থাকলে এমনিতেই বডি গ্লুকোজ রিজার্ভ ও সঞ্চিত শক্তি ভান্ডার ফুরিয়ে আসে। তাই শেষ বেলায় বডি শুধু বিএমআর মেইন্টেইন করার এনার্জি রাখে। ঠিক তখন আমরা যখন ইফতার করি তখন আমরা শক্তি উৎপাদনের জন্য বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাই।

একটি খাবার যখন আমরা খাই, তা এনার্জি তে রূপান্তরিত হতে গেলে শরীরের নিজস্ব কিছু এনার্জি খরচ হয়। যেমন- ১০০ কিলোক্যালরি এনার্জি বানাতে কার্বোহাইড্রেটে ৭ কিলোক্যালোরি, ফ্যাটে ১২ কিলোক্যালরি এবং প্রোটিনে ৩০ কিলোক্যালরি শরীরের এনার্জি লস হয়।

যেটা শরীরের প্রি-এক্সিসটিং এনার্জি থেকে খরচ হয়। একে ‘স্পেসিফিক ডাইনামিক অ্যাকশন’ বলে। এটা নেগেটিভ ব্যালেন্স অব এনার্জি অ্যাসিমিলেশন পর্যন্ত চলতে থাকবে। অর্থাৎ খাবার হজম না হওয়া পর্যন্ত।

আবার অতিরিক্ত খাদ্য আমাদের পাকস্থলী তে চলে আসলে আমাদের শরীরের স্প্ল্যাংনিক সার্কুলেশন অনেক বেড়ে যায়। ফলে কমে যায় ব্রেইনে রক্ত সাপ্লা। তাই ঘুম ঘুম ভাবও হয়।

তাই ইফতারের শুরুতেই বেশি পরিমান না খেয়ে অল্প অল্প করে বারেবারে খান।

Please Share This Post in Your Social Media


যে কারণে ইফতারের পর শরীর দুর্বল লাগে

Update Time : ০২:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পর শরীর চাঙা হবার কথা। কিন্তু অনেকেরই ইফতারের পর শরীর ছেড়ে দেয়। অর্থাৎ আরো বেশি ক্লান্ত লাগে। কিন্তু কেন এমন হয়?

খাওয়ার পর সেই খাবারকে বিভক্ত করে লিভারের কাছে পৌঁছে দিতে অন্ত্রের অনেক বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়, যে কারণে রক্তের ওপর বেশি চাপ পরে৷ ফলে তখন রক্তচাপ কমে গিয়ে শরীর ক্লান্ত বোধ করে এবং ঘুম পায়৷

অনেক সময় টানা না খেয়ে থাকলে এমনিতেই বডি গ্লুকোজ রিজার্ভ ও সঞ্চিত শক্তি ভান্ডার ফুরিয়ে আসে। তাই শেষ বেলায় বডি শুধু বিএমআর মেইন্টেইন করার এনার্জি রাখে। ঠিক তখন আমরা যখন ইফতার করি তখন আমরা শক্তি উৎপাদনের জন্য বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাই।

একটি খাবার যখন আমরা খাই, তা এনার্জি তে রূপান্তরিত হতে গেলে শরীরের নিজস্ব কিছু এনার্জি খরচ হয়। যেমন- ১০০ কিলোক্যালরি এনার্জি বানাতে কার্বোহাইড্রেটে ৭ কিলোক্যালোরি, ফ্যাটে ১২ কিলোক্যালরি এবং প্রোটিনে ৩০ কিলোক্যালরি শরীরের এনার্জি লস হয়।

যেটা শরীরের প্রি-এক্সিসটিং এনার্জি থেকে খরচ হয়। একে ‘স্পেসিফিক ডাইনামিক অ্যাকশন’ বলে। এটা নেগেটিভ ব্যালেন্স অব এনার্জি অ্যাসিমিলেশন পর্যন্ত চলতে থাকবে। অর্থাৎ খাবার হজম না হওয়া পর্যন্ত।

আবার অতিরিক্ত খাদ্য আমাদের পাকস্থলী তে চলে আসলে আমাদের শরীরের স্প্ল্যাংনিক সার্কুলেশন অনেক বেড়ে যায়। ফলে কমে যায় ব্রেইনে রক্ত সাপ্লা। তাই ঘুম ঘুম ভাবও হয়।

তাই ইফতারের শুরুতেই বেশি পরিমান না খেয়ে অল্প অল্প করে বারেবারে খান।