তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

  • Update Time : ০১:১৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 224
সোবহান আলম, নবাবগঞ্জ:
ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রকোপ বাড়ায় সন্ধ্যা নামতেই শহর হয়ে পড়ে স্থবির।পথচারীরা ঘরমুখী হয়ে পড়ে। সারা দিনের মেঘলা আকাশেই থাকছে সূর্য। দুপুরের পর একটু সূর্যের দেখা মেলে। এ কারণে বেশিরভাগ সময়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার যানবাহন।
.
সোমবার  (১ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচন্ড শীতে স্বচ্ছলরা বাড়ীর বাহিরে আসছে কম। তবে খেটে খাওয়া মানুষজনকে জীবিকার সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। শরীরে একটু গরম কাপড় মুড়িয়ে যাচ্ছে মাঠে পায়ে হেটে  এবং কেউবা যানবাহনে চলছে কাজের সন্ধানে। শীতের কাঁপুনি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে দিন মজুরদের।
উপজেলার  টেম্পুচালক রেজাউল জানান ঘন কুয়াশার ফলে তাদের গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে ঠান্ডার কারণে যাত্রী কম। এ কারণে অনেক সমস্যা পড়তে হচ্ছে তাদের।
.
উপজেলার  ভাদুরিয়ার দোকান মালিক নজরুল জানান, কনকনে ঠান্ডার কারণে নিয়মিত দোকান খুলতে পারছি না। বাড়িতে পরিবারের ৪জন সদস্য রয়েছে। অন্যদিকে আবার সাপ্তাহিক কিস্তি রয়েছে। সব মিলে খুব বিপদের মধ্যে আছি।
.
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে জানান, গোটা উপজেলায় শীতার্ত মানুষের সহায়তার জন্য  কম্বল  বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদামত শীতবস্ত্র বরাদ্দের জন্য তালিকা জেলা প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ মিললে আরও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

Update Time : ০১:১৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
সোবহান আলম, নবাবগঞ্জ:
ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রকোপ বাড়ায় সন্ধ্যা নামতেই শহর হয়ে পড়ে স্থবির।পথচারীরা ঘরমুখী হয়ে পড়ে। সারা দিনের মেঘলা আকাশেই থাকছে সূর্য। দুপুরের পর একটু সূর্যের দেখা মেলে। এ কারণে বেশিরভাগ সময়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার যানবাহন।
.
সোমবার  (১ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচন্ড শীতে স্বচ্ছলরা বাড়ীর বাহিরে আসছে কম। তবে খেটে খাওয়া মানুষজনকে জীবিকার সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। শরীরে একটু গরম কাপড় মুড়িয়ে যাচ্ছে মাঠে পায়ে হেটে  এবং কেউবা যানবাহনে চলছে কাজের সন্ধানে। শীতের কাঁপুনি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে দিন মজুরদের।
উপজেলার  টেম্পুচালক রেজাউল জানান ঘন কুয়াশার ফলে তাদের গাড়ি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে ঠান্ডার কারণে যাত্রী কম। এ কারণে অনেক সমস্যা পড়তে হচ্ছে তাদের।
.
উপজেলার  ভাদুরিয়ার দোকান মালিক নজরুল জানান, কনকনে ঠান্ডার কারণে নিয়মিত দোকান খুলতে পারছি না। বাড়িতে পরিবারের ৪জন সদস্য রয়েছে। অন্যদিকে আবার সাপ্তাহিক কিস্তি রয়েছে। সব মিলে খুব বিপদের মধ্যে আছি।
.
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে জানান, গোটা উপজেলায় শীতার্ত মানুষের সহায়তার জন্য  কম্বল  বিতরণ করা হয়েছে। চাহিদামত শীতবস্ত্র বরাদ্দের জন্য তালিকা জেলা প্রশাসনে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ মিললে আরও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।