নীলফামারীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলেন ৬৩৭ পরিবার

  • Update Time : ০৯:৪৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / 149
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে নীলফামারী জেলায় ৬৩৭টি পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে সেমিপাকা ঘর ।
.
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি । নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নিজগ্রাম থেকে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে সেখানকার উপকারভোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন এবং নির্মিত ঘরগুলো হস্তান্তর করেন।
.
এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ এর সঞ্চালনায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুল ওয়াহাব ভুঞা, নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক সহ আরো অনেকে।
.
এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব পাকা ঘর ও জমি পেয়ে উপকারভোগীদের যেনো খুশির শেষ নেই। সরকার আমাদের নামে জমি দলিল দিয়ে সেখানে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন; যা এখনো আমাদের স্বপ্নের মতোই মনে হয়। এইজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হাজার সালাম হাজার দোয়া রইল। শেখের বেটি আমাদের ঘর ও জমি দিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। হাসিনা অনেকদিন বাচুক, প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনেক দোয়া করি। তিনি আমাদের মাথা গোজার ঠাই করে দিয়েছেন।
.
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জেলার যেসব স্থানে সরকারের খাস জমি রয়েছে সেসকল জমিতে সেমিপাকা বসত ঘর তৈরী করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপে জেলার সদর উপজেলায় ৯৯টি, সৈয়দপুর উপজেলায় ৩৪টি, জলঢাকা উপজেলা ১৪১টি, ডোমার উপজেলায় ৩৮টি, ডিমলা উপজেলায় ১৮৫টি এবং কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ১৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ২ শতাংশ জমির উপর নির্মিত এসব গৃহ ২ কক্ষ বিশিষ্ট, সামনে বারান্দা, রান্নাঘর ও বাথরুম সংযুক্ত । ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের ঢেউ টিন দ্বারা ঘরগুলো নির্মিত করা হয়েছে।
Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নীলফামারীতে প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেলেন ৬৩৭ পরিবার

Update Time : ০৯:৪৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১
মশিয়ার রহমান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে নীলফামারী জেলায় ৬৩৭টি পরিবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে সেমিপাকা ঘর ।
.
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঘর বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি । নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার নিজগ্রাম থেকে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে সেখানকার উপকারভোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন এবং নির্মিত ঘরগুলো হস্তান্তর করেন।
.
এ সময় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ এর সঞ্চালনায় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আব্দুল ওয়াহাব ভুঞা, নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম পিপিএম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক সহ আরো অনেকে।
.
এছাড়া জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আনষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়। মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব পাকা ঘর ও জমি পেয়ে উপকারভোগীদের যেনো খুশির শেষ নেই। সরকার আমাদের নামে জমি দলিল দিয়ে সেখানে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছেন; যা এখনো আমাদের স্বপ্নের মতোই মনে হয়। এইজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হাজার সালাম হাজার দোয়া রইল। শেখের বেটি আমাদের ঘর ও জমি দিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। হাসিনা অনেকদিন বাচুক, প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনেক দোয়া করি। তিনি আমাদের মাথা গোজার ঠাই করে দিয়েছেন।
.
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জেলার যেসব স্থানে সরকারের খাস জমি রয়েছে সেসকল জমিতে সেমিপাকা বসত ঘর তৈরী করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ধাপে জেলার সদর উপজেলায় ৯৯টি, সৈয়দপুর উপজেলায় ৩৪টি, জলঢাকা উপজেলা ১৪১টি, ডোমার উপজেলায় ৩৮টি, ডিমলা উপজেলায় ১৮৫টি এবং কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ১৪০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ২ শতাংশ জমির উপর নির্মিত এসব গৃহ ২ কক্ষ বিশিষ্ট, সামনে বারান্দা, রান্নাঘর ও বাথরুম সংযুক্ত । ভিন্ন ভিন্ন রংয়ের ঢেউ টিন দ্বারা ঘরগুলো নির্মিত করা হয়েছে।