চিকিৎসাসেবায় অনিয়মের অভিযোগে গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সাতজনকে আসামী করে মামলা করে র্যাব। রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফয়সাল হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবউদ্দিনের বড় ছেলে।
এর আগে রবিবার হাসপাতালে অভিযানের সময় আটক দুই কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, কর্মকর্তা সাহরিজ কবির সাদিকেও মামলার আসামি করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরে গুলশানের সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করছে প্রতিষ্ঠানটি। হাসপাতালটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। হাসপাতালের একটি অপারেশন থিয়েটারে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল টিউব পাওয়া গেছে। এগুলোর একটি ২০০৯ সালে, দুটি ২০১১ সালে এবং একটি ২০২০ সালের এপ্রিলে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এসব টিউব সাধারণত অপারেশনে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার সময় রোগীর শ্বাসনালিতে ঢোকানো হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের লাইসেন্স গত বছর শেষ হয়ে যায়।
অভিযানের পর থেকে হাসপাতালটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। সেখানে ভর্তি কোভিড রোগী আছেন তের জন। যাদের আটজন রাশিয়ান। হাসপাতালটি সাতশ শিক্ষার্থীর মেডিকেল কলেজের সাথে সংযুক্ত বলে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখার আহবান জানিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।