করোনাজয়ী ৭০ বছরের বৃদ্ধের চিকিৎসা বিল ১১ লাখ ডলার

  • Update Time : ০৬:২৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
  • / 215
ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলের বাসিন্দা মাইকেল ফ্লর (৭০)। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থও হয়েছিলেন।  কিন্তু বাসায় ফিরে হাতে পেয়েছেন ১১ লাখ ২২ হাজার ডলারের বিল! এতে নতুন এক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ফ্লর। 
.

কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়ে ফ্লর বেশ অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন। বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিল পরিবার। কিন্তু ইস্কায়ায় সুইডিশ মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার পর তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিতু পরক্ষণেই হন হতবাক।

মোট ৬২ দিন সুইডিশ মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফ্লর। হাসপাতাল ছাড়ার পর ১৮১ পৃষ্ঠার বিলে সংযুক্ত ছিল প্রতিদিন ৯ হাজার ৭৩৬ ডলারের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট রুমের বিল। এছাড়াও যোগ হয়েছিল ৪ লাখ ৮ হাজার, ৯১২ ডলারের বিল।

ফ্লর করোনায় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। এমনকি হাসপাতালের নার্স ‘শেষ বিদায়’ বলার জন্য পরিবার সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাও বলার ব্যবস্থা করেছিল। তবে সে যাত্রায় তিনি বেঁচে যান।

এই বিলে যুক্ত ছিল সে ওষুধের মূল্য, যা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। সবকিছুর পর ফ্লরের জন্য আশার কথা, তার একটি মেডিকেল অ্যাডভানটেজ বিমা পলিসি রয়েছে, যা প্রায় ৬ হাজার ডলার ছাড়ের পর সাধারণত সব বিল পরিশোধ করা সম্ভব। কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য কংগ্রেস প্রণীত বিশেষ আর্থিক বিধিগুলোর বদৌলতে ফ্লরকে এই বিল পরিশোধ করতে নাও হতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


করোনাজয়ী ৭০ বছরের বৃদ্ধের চিকিৎসা বিল ১১ লাখ ডলার

Update Time : ০৬:২৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সিয়াটলের বাসিন্দা মাইকেল ফ্লর (৭০)। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থও হয়েছিলেন।  কিন্তু বাসায় ফিরে হাতে পেয়েছেন ১১ লাখ ২২ হাজার ডলারের বিল! এতে নতুন এক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ফ্লর। 
.

কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত হয়ে ফ্লর বেশ অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন। বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিল পরিবার। কিন্তু ইস্কায়ায় সুইডিশ মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার পর তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিতু পরক্ষণেই হন হতবাক।

মোট ৬২ দিন সুইডিশ মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফ্লর। হাসপাতাল ছাড়ার পর ১৮১ পৃষ্ঠার বিলে সংযুক্ত ছিল প্রতিদিন ৯ হাজার ৭৩৬ ডলারের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট রুমের বিল। এছাড়াও যোগ হয়েছিল ৪ লাখ ৮ হাজার, ৯১২ ডলারের বিল।

ফ্লর করোনায় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। এমনকি হাসপাতালের নার্স ‘শেষ বিদায়’ বলার জন্য পরিবার সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথাও বলার ব্যবস্থা করেছিল। তবে সে যাত্রায় তিনি বেঁচে যান।

এই বিলে যুক্ত ছিল সে ওষুধের মূল্য, যা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। সবকিছুর পর ফ্লরের জন্য আশার কথা, তার একটি মেডিকেল অ্যাডভানটেজ বিমা পলিসি রয়েছে, যা প্রায় ৬ হাজার ডলার ছাড়ের পর সাধারণত সব বিল পরিশোধ করা সম্ভব। কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য কংগ্রেস প্রণীত বিশেষ আর্থিক বিধিগুলোর বদৌলতে ফ্লরকে এই বিল পরিশোধ করতে নাও হতে পারে।