ঢাবিতে চালু হচ্ছে শাটল বাস সার্ভিস, ‘লোক দেখানো ও হাস্যকর উদ্যোগ’ বলছেন শিক্ষার্থীরা

  • Update Time : ০৫:০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • / 36

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাসে শাটল বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে আগামী ৩ মাসের জন্য এ সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শাটল বাস সার্ভিসের জন্য নির্ধারিত বাসগুলো পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাস চলাচল শুরু হবে। তিনটি নন এসি মিনিবাস দিয়ে সার্ভিসটি যাত্রা শুরু করবে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চক্রাকারে ক্যাম্পাসের তিনটি রুটে চলাচল করবে শাটল বাস।

প্রথম রুট কবি সুফিয়া কামাল হল-অমর একুশে হল-শহীদুল্লাহ হল-কার্জন হল-মোকাররম ভবন-সায়েন্স অ্যানেক্স ভবন-টিএসসি-কলাভবন-মলচত্বর-নীলক্ষেত মোড়।  

দ্বিতীয় রুট হলো নীলক্ষেত মোড়-মলচত্বর-বিজনেস ফ্যাকাল্টি-লেকচার থিয়েটার ভবন-মধুর ক্যান্টিন-কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি-চারুকলা-টিএসসি-পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট- কার্জন হল-কবি সুফিয়া কামাল হল।

তৃতীয় রুট হলো কবি সুফিয়া কামাল হল-অমর একুশে হল-শহীদুল্লাহ হল-কার্জন হল-মোকাররম ভবন- সায়েন্স অ্যানেক্স ভবন-জগন্নাথ হল-এস এম হল-ফুলার রোড-মলচত্বর-নীলক্ষেত মোড়।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এ শাটল বাস সার্ভিস উদ্বোধন করতে পারেন।

তবে ঢাবি প্রশাসনের এধরনের উদ্যোগকে লোক দেখানো এবং হাস্যকর বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বঙ্গমাতা – মৈত্রী হল ও শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসের দিকে কোনো স্টপেজ না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শিক্ষার্থী এই উদ্যোগের বিষয়ে মন্তব্য করেন, এটা সাসটেইনেবল হবে না। দুইদিন পরে সেই আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এই বাস মলচত্তর, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, মধুর ক্যান্টিন আর লাইব্রেরীর সামনে দিয়ে গেলে আরো হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হবে।

এই উদ্যোগ কে অপরিকল্পিত উল্লেখ করে আরেকজন শিক্ষার্থী লিখেছেন, শাহবাগ নাই,
হল পাড়া নাই, এর চেয়ে ইওর ক্যাম্পাস দিলে সবখানেই কভার হয়তো।

এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঐখানকার ২ টা হল (বঙ্গমাতা ও মৈত্রী হল) কী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান? আংশিক চালুর দরকার কী তাহলে? এই বাস চালানোর উদ্দেশ্যেই বা কী আমার বোধগম্য নয় !

প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষামূলক চালু হতে যাওয়া শাটল বাস সার্ভিস কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে৷

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে চালু হচ্ছে শাটল বাস সার্ভিস, ‘লোক দেখানো ও হাস্যকর উদ্যোগ’ বলছেন শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০৫:০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মতো ক্যাম্পাসে শাটল বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে আগামী ৩ মাসের জন্য এ সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শাটল বাস সার্ভিসের জন্য নির্ধারিত বাসগুলো পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বাস চলাচল শুরু হবে। তিনটি নন এসি মিনিবাস দিয়ে সার্ভিসটি যাত্রা শুরু করবে। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চক্রাকারে ক্যাম্পাসের তিনটি রুটে চলাচল করবে শাটল বাস।

প্রথম রুট কবি সুফিয়া কামাল হল-অমর একুশে হল-শহীদুল্লাহ হল-কার্জন হল-মোকাররম ভবন-সায়েন্স অ্যানেক্স ভবন-টিএসসি-কলাভবন-মলচত্বর-নীলক্ষেত মোড়।  

দ্বিতীয় রুট হলো নীলক্ষেত মোড়-মলচত্বর-বিজনেস ফ্যাকাল্টি-লেকচার থিয়েটার ভবন-মধুর ক্যান্টিন-কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি-চারুকলা-টিএসসি-পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট- কার্জন হল-কবি সুফিয়া কামাল হল।

তৃতীয় রুট হলো কবি সুফিয়া কামাল হল-অমর একুশে হল-শহীদুল্লাহ হল-কার্জন হল-মোকাররম ভবন- সায়েন্স অ্যানেক্স ভবন-জগন্নাথ হল-এস এম হল-ফুলার রোড-মলচত্বর-নীলক্ষেত মোড়।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এ শাটল বাস সার্ভিস উদ্বোধন করতে পারেন।

তবে ঢাবি প্রশাসনের এধরনের উদ্যোগকে লোক দেখানো এবং হাস্যকর বলে উল্লেখ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বঙ্গমাতা – মৈত্রী হল ও শাহনেওয়াজ ছাত্রাবাসের দিকে কোনো স্টপেজ না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শিক্ষার্থী এই উদ্যোগের বিষয়ে মন্তব্য করেন, এটা সাসটেইনেবল হবে না। দুইদিন পরে সেই আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এই বাস মলচত্তর, বিজনেস ফ্যাকাল্টি, মধুর ক্যান্টিন আর লাইব্রেরীর সামনে দিয়ে গেলে আরো হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হবে।

এই উদ্যোগ কে অপরিকল্পিত উল্লেখ করে আরেকজন শিক্ষার্থী লিখেছেন, শাহবাগ নাই,
হল পাড়া নাই, এর চেয়ে ইওর ক্যাম্পাস দিলে সবখানেই কভার হয়তো।

এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ঐখানকার ২ টা হল (বঙ্গমাতা ও মৈত্রী হল) কী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান? আংশিক চালুর দরকার কী তাহলে? এই বাস চালানোর উদ্দেশ্যেই বা কী আমার বোধগম্য নয় !

প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষামূলক চালু হতে যাওয়া শাটল বাস সার্ভিস কতটা সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে৷