মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও ৮ মাস লাগবে: গভর্নর

  • Update Time : ০৫:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 26

যেকোনো পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করলেও মূল্যস্ফীতি এক বছরের আগে কোনো দেশেই কমে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। আমাদের গ্রোথ কমেনি। চার মাস পার করছি, মূল্যস্ফীতি কমাতে আমাকে আরও ৮ মাস সময় দিতে হবে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। সব প্রয়োজনীয় পণ্য এলসি খোলা, শুল্ক শিথিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে শুল্ক হ্রাসসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব। গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে কোনো কিছু করেনি।

ব্যাংক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত সময়ে ব্যাংকখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দ্রুত সব সমাধান হবে না। কারণ এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার এসেট এক পরিবার ২৩ হাজার নিয়েছে সেখানে আমার হাতে ম্যাজিক নেই। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না এটা বলতে পারি। দুর্বল ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছে না এ কারণে তাদের তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, সব সমাধানও হয়ে যাবে।

বেক্সিমকোতে রিসিভার নিয়োগের বিষয়ে গভর্নর বলেন, বেক্সিমকো সচল রাখতেই রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিসহ সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, অগ্রগতিও হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও ৮ মাস লাগবে: গভর্নর

Update Time : ০৫:৫১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

যেকোনো পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করলেও মূল্যস্ফীতি এক বছরের আগে কোনো দেশেই কমে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। আমাদের গ্রোথ কমেনি। চার মাস পার করছি, মূল্যস্ফীতি কমাতে আমাকে আরও ৮ মাস সময় দিতে হবে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা শুধু মুদ্রানীতির ওপর নির্ভর করছি না। সব প্রয়োজনীয় পণ্য এলসি খোলা, শুল্ক শিথিল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক মূল্য কমাতে শুল্ক হ্রাসসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারব। গত তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে কোনো কিছু করেনি।

ব্যাংক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত সময়ে ব্যাংকখাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে দ্রুত সব সমাধান হবে না। কারণ এক ব্যাংকের ২৭ হাজার কোটি টাকার এসেট এক পরিবার ২৩ হাজার নিয়েছে সেখানে আমার হাতে ম্যাজিক নেই। তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না এটা বলতে পারি। দুর্বল ব্যাংকে টাকা তুলতে পারছে না এ কারণে তাদের তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, সব সমাধানও হয়ে যাবে।

বেক্সিমকোতে রিসিভার নিয়োগের বিষয়ে গভর্নর বলেন, বেক্সিমকো সচল রাখতেই রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিসহ সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, অগ্রগতিও হয়েছে।