আগ্রাসী শক্তিকে প্রতিহত করতে ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছি: ইরানি প্রেসিডেন্ট

  • Update Time : ১১:১৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / 20

আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য তেহরান ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে; কোনো দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো বা যুদ্ধ শুরু করার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

তেহরানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। পেজেশকিয়ান বলেন, আমরা আমাদের ভাণ্ডারে ক্ষেপণাস্ত্র রেখেছি যাতে তারা আমাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস না দেখায়। কারো বিরুদ্ধে আগ্রাসী হামলা চালানো বা অন্য দেশ দখল করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।

তিনি বলেন, ইসরাইলের মতো আগ্রাসীরা যেমন গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে বা অন্য যেকোনো স্থানে যাকে খুশি টার্গেট করছে, সেরকম আচরণ যাতে ইরানের সঙ্গে করতে না পারে সেজন্য এদেশের আত্মরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তৈরি করা হয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসরাইলি ভয়াবহ গণহত্যার সামনে আত্মসমর্পণ না করায় গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ইহুদিবাদীরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সব ধরনের মারণাস্ত্র নিয়ে গাজাবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া সত্ত্বেও এই উপত্যকার অধিবাসীরা নিজেদের ‘সম্মান ও মহত্ব’ বজায় রেখেছেন।

গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান গণহত্যায় অন্তত ৪৩,৩০০ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এ সময়ে বহু ফিলিস্তিনি যোদ্ধা শহীদ হলেও প্রতিরোধ আন্দোলনকারীরা এখন পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসনের সামনে আত্মসমর্পণ করার মানসিকতা প্রদর্শন করেননি। তারা বরং ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন। পার্সটুডে

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আগ্রাসী শক্তিকে প্রতিহত করতে ক্ষেপণাস্ত্র বানিয়েছি: ইরানি প্রেসিডেন্ট

Update Time : ১১:১৯:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

আগ্রাসন প্রতিহত করার জন্য তেহরান ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে; কোনো দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো বা যুদ্ধ শুরু করার জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।

তেহরানে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। পেজেশকিয়ান বলেন, আমরা আমাদের ভাণ্ডারে ক্ষেপণাস্ত্র রেখেছি যাতে তারা আমাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস না দেখায়। কারো বিরুদ্ধে আগ্রাসী হামলা চালানো বা অন্য দেশ দখল করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।

তিনি বলেন, ইসরাইলের মতো আগ্রাসীরা যেমন গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে বা অন্য যেকোনো স্থানে যাকে খুশি টার্গেট করছে, সেরকম আচরণ যাতে ইরানের সঙ্গে করতে না পারে সেজন্য এদেশের আত্মরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তৈরি করা হয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসরাইলি ভয়াবহ গণহত্যার সামনে আত্মসমর্পণ না করায় গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ইহুদিবাদীরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সব ধরনের মারণাস্ত্র নিয়ে গাজাবাসীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া সত্ত্বেও এই উপত্যকার অধিবাসীরা নিজেদের ‘সম্মান ও মহত্ব’ বজায় রেখেছেন।

গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান গণহত্যায় অন্তত ৪৩,৩০০ নিরপরাধ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এ সময়ে বহু ফিলিস্তিনি যোদ্ধা শহীদ হলেও প্রতিরোধ আন্দোলনকারীরা এখন পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসনের সামনে আত্মসমর্পণ করার মানসিকতা প্রদর্শন করেননি। তারা বরং ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন। পার্সটুডে