নীল দলের সভাপতি ড. ইকবালকে ক্যাম্পাস ত্যাগে বাধ্য করলো শিক্ষার্থীরা
- Update Time : ০৮:০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 33
মোস্তফা গালিব,যবিপ্রবি প্রতিনিধি
আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের আহবায়ক ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্তৃক অবাঞ্চিত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষক ড. ইকবাল কবির জাহিদকে অবরুদ্ধ ও ক্যাম্পাস ত্যাগে বাধ্য করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাডেমিক ভবনের গ্যালারীর সম্মুখে তাকে অবরুদ্ধ করে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ইকবাল কবির জাহিদ তার নিজ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করার খবর শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে ঐ অনুষ্ঠানের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন এবং ড. ইকবালের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি অনুষ্ঠান ছেড়ে শিক্ষকদের ডরমিটরিতে নিজ বাসায় অবস্থান নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ত্যাগের জন্য ১৫ মিনিট সময় বেধে দেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে প্রক্টরের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাস ছাড়েন ড. ইকবাল কবির জাহিদ।
এ বিষয়ে কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকা শাহানি উর্মি বলেন, আমাদের উপাচার্য যেদিন পদত্যাগ করে তখন ড. ইকবাল কবির জাহিদকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। তাকে বলা হয় তিনি যেন আর ক্যাম্পাসে প্রবেশ না করেন। তারপরেও তিনি অবাধে চলাফেরা করছিলেন। তাকে প্রশাসনের মাধ্যমে আমরা একটি চিঠিও প্রদান করি। তারপরও আজকে মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রামে তাকে দেখে শিক্ষার্থীরা আর সহ্য করতে পারেনি। পরবর্তীতে অবাঞ্চিত ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর আমজাদ হোসেন ড. ইঞ্জি. বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ও নীল দলের সভাপতি ড. ইকবাল কবির জাহিদ কে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি দিয়ে মেইন গেইট পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছি। তার সাথে কথা বলা হয়েছে সে চলে যেতে সম্মতি জানায় এবং তার সম্মতিতেই তাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।
উল্লেখ্য, যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ড. ইকবাল কবির জাহিদের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা লোপাট, নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে।