ঢাবিতে সব ছাত্র সংগঠনের সাথে লিয়াজোঁ কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

  • Update Time : ০৮:২৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • / 40

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে সব ছাত্র সংগঠনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এ সভা শুরু হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সভা চলে। উক্ত সভায় বিভিন্ন সংগঠনের ৩৬ জনের বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এ সভায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রকাশ্যে এল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০০৮ সালে সর্বশেষ প্রকাশ্যে কার্যক্রম ছিল তাদের। 

লিয়াজোঁ কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আব্দুল্লাহ, নাসির আব্দুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম আদীব। এ মতবিনিময় সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্রপ্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়, পরিস্থিতি অনুযায়ী ছাত্রসংগঠনগুলো বিভিন্ন ক্যাম্পাসে নিজেদের আলাদা করে কোনো কর্মসূচি দেবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে রক্ষা এবং সব ধরনের প্রতিবিপ্লব রুখে দেওয়ার জন্য লড়ে যাবেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে কোনো ছাত্র ক্যাম্পাসে বা অন্য কোথাও কারও ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, হুমকি কিংবা ট্যাগ–ব্লেইম দিতে পারবে না। ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলো কেউ কারও প্রতি আক্রমণ বা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন না করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 
 
আরও জানা গেছে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না, এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তবে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা। 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যাম্পাসে হল দখল করা যাবে না, শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় এ রকম কর্মকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম না করার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি গণেশ চন্দ্র সাহস, নাহিদুজ্জামান শিপন, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাগীব নাঈম, ঢাবি সভাপতি মেঘমল্লার বসু, সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের (মুক্তি কাউন্সিল) সভাপতি মিতু সরকার, সহসভাপতি দীপা মল্লিকা, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক মাইনুদ্দীন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা উপস্থিত ছিলেন। 
এ ছাড়া বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (জেএসএস), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বিপ্লবী ছাত্রসংহতি, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া), বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রমিশন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল ও জুম লিটারেচার সোসাইটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (সিপিবি), বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রঐক্য ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কোনো নেতা-কর্মী এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে সব ছাত্র সংগঠনের সাথে লিয়াজোঁ কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৮:২৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে সব ছাত্র সংগঠনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এ সভা শুরু হয়। রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সভা চলে। উক্ত সভায় বিভিন্ন সংগঠনের ৩৬ জনের বেশি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

এ সভায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ ১৭ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রকাশ্যে এল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০০৮ সালে সর্বশেষ প্রকাশ্যে কার্যক্রম ছিল তাদের। 

লিয়াজোঁ কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আব্দুল্লাহ, নাসির আব্দুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম আদীব। এ মতবিনিময় সভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ও ছাত্রপ্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন। 

জানা যায়, পরিস্থিতি অনুযায়ী ছাত্রসংগঠনগুলো বিভিন্ন ক্যাম্পাসে নিজেদের আলাদা করে কোনো কর্মসূচি দেবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে রক্ষা এবং সব ধরনের প্রতিবিপ্লব রুখে দেওয়ার জন্য লড়ে যাবেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে কোনো ছাত্র ক্যাম্পাসে বা অন্য কোথাও কারও ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, হুমকি কিংবা ট্যাগ–ব্লেইম দিতে পারবে না। ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রসংগঠনগুলো কেউ কারও প্রতি আক্রমণ বা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন না করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 
 
আরও জানা গেছে, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না, এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তবে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি তাঁরা। 

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, ক্যাম্পাসে হল দখল করা যাবে না, শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয় এ রকম কর্মকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম না করার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি গণেশ চন্দ্র সাহস, নাহিদুজ্জামান শিপন, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের (গণসংহতি) সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাগীব নাঈম, ঢাবি সভাপতি মেঘমল্লার বসু, সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের (মুক্তি কাউন্সিল) সভাপতি মিতু সরকার, সহসভাপতি দীপা মল্লিকা, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক মাইনুদ্দীন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা উপস্থিত ছিলেন। 
এ ছাড়া বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (জেএসএস), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বিপ্লবী ছাত্রসংহতি, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া), বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রসমাজ, বাংলাদেশ ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রমিশন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল ও জুম লিটারেচার সোসাইটির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (সিপিবি), বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্রঐক্য ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কোনো নেতা-কর্মী এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন না।