কুবি শিক্ষকদের মানববন্ধনে আসতে পথে পথে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের বাধা

  • Update Time : ০৮:০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • / 34

কুবি প্রতিনিধি

দেশব্যাপী শিক্ষার্থী হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের মানববন্ধনে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) পূর্বঘোষিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে আসতে চাইলে কোটবাড়ি, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাডেট কলেজের সামনে, ছাত্র আন্দোলন চত্বর (আনসার ক্যাম্প) মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় তাদেরকে বাধা প্রদান করা হয় বলে জানা যায়। শিক্ষকদের অভিযোগ এসময় তাদেরকে বিভিন্ন মোড়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইল চেক করে রেখে দিতে দেখা যায়।

এববিষয়ে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল বলেন, আমরা গণিত বিভাগের তিনজন শিক্ষক মানববন্ধনে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কোটবাড়িতে আসার পর কয়েকজন আমাদেরকে বাধা দেয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে পরিচয় দেই। তারা বলে ভার্সিটি এখন বন্ধ, তাই শিক্ষকরাও যেতে পারবেনা। তারা আমাদেরকে চলে যেতে বলে। আমাদের একজন শিক্ষক প্রক্টরকে কল দেয়। কিন্তু উনি দেখবেন বলে আর কোন রেসপন্স করেননি। প্রায় এক ঘন্টা আমরা সেখানে অপেক্ষা করি। পরে প্রক্টরকে জানায়ে সেখান থেকে আমরা চলে আসি।

বাধা পেরিয়ে মানববন্ধনে আসা নৃবিজ্ঞান বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক শামীমা নাসরিন বলেন, মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি সিএনজি করে ক্যাম্পাসে আসছিলাম। পথিমধ্যে কোটবাড়িতে প্রায় দুইশত ছেলেপুলের একটা জটলা দেখি। ওরা আমার সিএনজি আটকায়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দেয়ার পরে ওরা আমাকে বাধা দেয়। সিএনজি ঘুরিয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। যখন আমি ফিরে যেতে চাচ্ছিলাম না তখন কয়েকজন আমার দিকে এগিয়ে আসে। কিন্তু ধমক দেয়াতে তারা আর সামনে এগুয়নি। এরপর অনেক্ষন চেষ্টা করে আমি তাদের কাছ থেকে ক্যাম্পাসে আসার অনুমতি পাই। কিন্তু আমি আসতে পারলেও আমার অনেক সহকর্মী আজকে চেষ্টা করেও ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি। পথে পথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।

এবিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমাকে একজন শিক্ষক ফোন দিয়ে এই অভিযোগ জানিয়েছিলো। এরপরই আমি প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি৷ তারা খোঁজ নিবে বলে জানায়। কিন্তু শিক্ষকদের দাবি অনেকে কল দিয়েছেন কিন্তু তিনি (প্রক্টর) কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুবি শিক্ষকদের মানববন্ধনে আসতে পথে পথে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের বাধা

Update Time : ০৮:০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি

দেশব্যাপী শিক্ষার্থী হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের মানববন্ধনে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) পূর্বঘোষিত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে আসতে চাইলে কোটবাড়ি, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাডেট কলেজের সামনে, ছাত্র আন্দোলন চত্বর (আনসার ক্যাম্প) মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় তাদেরকে বাধা প্রদান করা হয় বলে জানা যায়। শিক্ষকদের অভিযোগ এসময় তাদেরকে বিভিন্ন মোড়ে শিক্ষার্থীদের মোবাইল চেক করে রেখে দিতে দেখা যায়।

এববিষয়ে গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. খলিফা মোহাম্মদ হেলাল বলেন, আমরা গণিত বিভাগের তিনজন শিক্ষক মানববন্ধনে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কোটবাড়িতে আসার পর কয়েকজন আমাদেরকে বাধা দেয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে পরিচয় দেই। তারা বলে ভার্সিটি এখন বন্ধ, তাই শিক্ষকরাও যেতে পারবেনা। তারা আমাদেরকে চলে যেতে বলে। আমাদের একজন শিক্ষক প্রক্টরকে কল দেয়। কিন্তু উনি দেখবেন বলে আর কোন রেসপন্স করেননি। প্রায় এক ঘন্টা আমরা সেখানে অপেক্ষা করি। পরে প্রক্টরকে জানায়ে সেখান থেকে আমরা চলে আসি।

বাধা পেরিয়ে মানববন্ধনে আসা নৃবিজ্ঞান বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক শামীমা নাসরিন বলেন, মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার জন্য আমি সিএনজি করে ক্যাম্পাসে আসছিলাম। পথিমধ্যে কোটবাড়িতে প্রায় দুইশত ছেলেপুলের একটা জটলা দেখি। ওরা আমার সিএনজি আটকায়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয় দেয়ার পরে ওরা আমাকে বাধা দেয়। সিএনজি ঘুরিয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। যখন আমি ফিরে যেতে চাচ্ছিলাম না তখন কয়েকজন আমার দিকে এগিয়ে আসে। কিন্তু ধমক দেয়াতে তারা আর সামনে এগুয়নি। এরপর অনেক্ষন চেষ্টা করে আমি তাদের কাছ থেকে ক্যাম্পাসে আসার অনুমতি পাই। কিন্তু আমি আসতে পারলেও আমার অনেক সহকর্মী আজকে চেষ্টা করেও ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি। পথে পথে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে।

এবিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমাকে একজন শিক্ষক ফোন দিয়ে এই অভিযোগ জানিয়েছিলো। এরপরই আমি প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি৷ তারা খোঁজ নিবে বলে জানায়। কিন্তু শিক্ষকদের দাবি অনেকে কল দিয়েছেন কিন্তু তিনি (প্রক্টর) কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।