পুলিশের হামলাকৃত স্থানকে কুবি শিক্ষার্থীদের ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’ ঘোষণা

  • Update Time : ০৭:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
  • / 50

মিছিল থেকে কুবি প্রক্টরের অপসারণ দাবি

কুবি প্রতিনিধি:

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলাকৃত স্থানকে ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’ নামে ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

(১২ জুলাই) বিকাল ৫টায় পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ মিছিল থেকে চত্বরটির এই নামকরণ ঘোষণা করা হয়। এসময় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রক্টরের অপসারণ এবং হামলায় অংশগ্রহন করা পুলিশ সদস্যদের তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

জানা যায়, গতকাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দুপুর ৩টায় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে। যাতে ৬ জন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। যদিও পরবর্তীতে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাত ১১টা পর্যন্ত তাদের অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের নৃশংস হামলাকে স্বরণে রাখতে এই স্থানকে ছাত্র আন্দোলন চত্বর হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যেটা আমাদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ। এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যাতে আমাদের এই সংগ্রামকে ধারণ করতে পারে সেজন্য আমাদের এই উদ্যোগ।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী বি এম সুমন বলেন, ‘আজকে আমাদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা কিভাবে বন্ধ হবে জানিনা। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ বিনা উস্কানীতে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। আমাদের ৩০ এর অধিক ভাইয়েরা রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে নিদারুণ যন্ত্রণায় ঝটপট করছে। তাঁদের যন্ত্রণার আওয়াজ, কান্নার আওয়াজ সারা বাংলাদেশে অলি গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের এই আওয়াজ যাদের কানে যাওয়ার কথা ছিল তারা কানে তুলা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। তাই এই হামলায় প্রত্যক্ষ মদদ দেওয়া প্রক্টর কে যতদিন অপসারণ করা হবে না ততদিন আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

মিছিলের সময় প্রক্টর উপস্থিত না থাকায় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ দিয়ে হামলা করিয়ে প্রক্টোরিয়াল বডি শান্তিতে আছে। আজকে না আসার কারণ জানার জন্য প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দীকিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রতিবেদকের কল কেটে দেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পুলিশের হামলাকৃত স্থানকে কুবি শিক্ষার্থীদের ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’ ঘোষণা

Update Time : ০৭:৫৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

মিছিল থেকে কুবি প্রক্টরের অপসারণ দাবি

কুবি প্রতিনিধি:

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলাকৃত স্থানকে ‘ছাত্র আন্দোলন চত্বর’ নামে ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

(১২ জুলাই) বিকাল ৫টায় পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ মিছিল থেকে চত্বরটির এই নামকরণ ঘোষণা করা হয়। এসময় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রক্টরের অপসারণ এবং হামলায় অংশগ্রহন করা পুলিশ সদস্যদের তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

জানা যায়, গতকাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা দুপুর ৩টায় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধে যাওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের উপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে। যাতে ৬ জন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। যদিও পরবর্তীতে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাত ১১টা পর্যন্ত তাদের অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের নৃশংস হামলাকে স্বরণে রাখতে এই স্থানকে ছাত্র আন্দোলন চত্বর হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। যেটা আমাদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ। এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যাতে আমাদের এই সংগ্রামকে ধারণ করতে পারে সেজন্য আমাদের এই উদ্যোগ।

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী বি এম সুমন বলেন, ‘আজকে আমাদের হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তা কিভাবে বন্ধ হবে জানিনা। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে পুলিশ বিনা উস্কানীতে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। আমাদের ৩০ এর অধিক ভাইয়েরা রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে নিদারুণ যন্ত্রণায় ঝটপট করছে। তাঁদের যন্ত্রণার আওয়াজ, কান্নার আওয়াজ সারা বাংলাদেশে অলি গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের এই আওয়াজ যাদের কানে যাওয়ার কথা ছিল তারা কানে তুলা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। তাই এই হামলায় প্রত্যক্ষ মদদ দেওয়া প্রক্টর কে যতদিন অপসারণ করা হবে না ততদিন আমাদের এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

মিছিলের সময় প্রক্টর উপস্থিত না থাকায় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ দিয়ে হামলা করিয়ে প্রক্টোরিয়াল বডি শান্তিতে আছে। আজকে না আসার কারণ জানার জন্য প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দীকিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রতিবেদকের কল কেটে দেন।