সৌদিতে আরও দুই বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

  • Update Time : ১১:২৮:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪
  • / 45

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়ে আরো দুই বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এবারের হজ মৌসুমে সৌদিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।

সবশেষ বুধবার (১২ জুন) মারা যাওয়া দুজনের নাম মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২) বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। মারা যাওয়া ১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও দুইজন নারী।

এর আগে গত ১০ জুনও একদিনে গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুইজন হজযাত্রী মারা গেছেন। তাদের দুজনের বাড়িই রংপুর জেলায়। এর মধ্যে গোলাম কুদ্দুস তারাগঞ্জ ও শাহাজুদ আলী পীরগঞ্জের বাসিন্দা।

এ বছর হজ পালনে গিয়ে মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭) ও গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ পালন করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। এছাড়া মক্কায় কোনো হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয় তার।

এদিকে বুধবার সৌদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর হজযাত্রী ও তাদের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত গাইডসহ মোট ৮৫ হাজার ১২৯ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

এ নিয়ে শতভাগ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। হজযাত্রীদের বহন করতে এবার তিনটি এয়ারলাইনস মোট ১২৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের ৩৭টি ফ্লাইট রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সৌদিতে আরও দুই বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

Update Time : ১১:২৮:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়ে আরো দুই বাংলাদেশী হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এবারের হজ মৌসুমে সৌদিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৭ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন।

সবশেষ বুধবার (১২ জুন) মারা যাওয়া দুজনের নাম মো. শাহ আলম (৭৭) ও সুফিয়া খাতুন (৬২) বলে জানা গেছে। তাদের বাড়ি কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ জেলায়। মারা যাওয়া ১৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মধ্যে ১৫ জন পুরুষ ও দুইজন নারী।

এর আগে গত ১০ জুনও একদিনে গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও শাহাজুদ আলী (৫৫) নামে দুইজন হজযাত্রী মারা গেছেন। তাদের দুজনের বাড়িই রংপুর জেলায়। এর মধ্যে গোলাম কুদ্দুস তারাগঞ্জ ও শাহাজুদ আলী পীরগঞ্জের বাসিন্দা।

এ বছর হজ পালনে গিয়ে মারা যাওয়া অপর হজযাত্রীরা হলেন- নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলা জেলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রাম জেলার মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকা জেলার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লা জেলার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭) ও গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩)।

সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ পালন করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। এছাড়া মক্কায় কোনো হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয় তার।

এদিকে বুধবার সৌদিয়া এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট। এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর হজযাত্রী ও তাদের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত গাইডসহ মোট ৮৫ হাজার ১২৯ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

এ নিয়ে শতভাগ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। হজযাত্রীদের বহন করতে এবার তিনটি এয়ারলাইনস মোট ১২৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ৭৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের ৩৭টি ফ্লাইট রয়েছে।