ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করায় কুবি শিক্ষকের ক্ষোভ
- Update Time : ১০:২২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
- / 47
কুবি প্রতিনিধি
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি অধ্যায়নত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ আকবর হোসেনকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি তার উপর নেয়া অন্যায় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্যও আবেদন জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর বরাবর ইমেইলে প্রেরিত এক আবেদনপত্রের মাধ্যমে বিষয়টি জানা যায়।
আবেদনপত্র মারফত জানা যায়, মোহাম্মদ আকবর হোসেন ২০১৩ সালের পহেলা জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের একটি স্থায়ী পদের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। এবং ঐবছরের ২ নভেম্বর তিনিও সেই পদের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি সিলেকশন বোর্ড ডাকা হয়। শিক্ষা ছুটিতে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে সেই ভাইভায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু এরপর এখনো পর্যন্ত তাকে সেই নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। তদুপরি বিভিন্ন সূত্রমতে তিনি জানতে পেরেছেন যে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে তাকে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন একজনকে সেই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা তার প্রতি সম্পূর্ণ অন্যায় করা হয়েছে বলে দাবি করে তার ন্যায্য অধিকার বলে ‘স্থায়ী পদ’ ফিরিয়ে দেয়ার আবেদন জানান তিনি।
আবেদনপত্রে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সিলেকশন বোর্ড এবং সিন্ডিকেটের এমন সিদ্ধান্ত আমাকে হতবাক ই শুধু করেনি, করেছে সংক্ষুব্ধ। বার বার মনে হয়েছে, আমেরিকার মতো উন্নত দেশের একটি নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করতে এসে আমি কি কোন পাপ করেছি নাকি যার জন্য আমাকে শাস্তি পেতে হচ্ছে। সিলেকশন বোর্ড এর এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ন বিধিবহির্ভূত এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও নর্মস এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত প্র্যাকটিস হল স্থায়ী পদ সৃষ্টি হলে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগে যিনি অস্থায়ী (আপগ্রেডেড) পদে আছেন তাকে স্থায়ী করা। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে প্রশাসন যা করল তা শুধু যে অন্যায় তা নয়, এটি অভূতপূর্ব। সুস্পষ্টত আমাকে আমার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এনিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, যেহেতু আমাদের সেই সহকর্মী এখানকারই শিক্ষক, তাই তার কাছ থেকে বর্তমান উপাচার্যের দুর্নীতি করার সুযোগ ছিলোনা। নিয়োগ পাওয়া সেই প্রার্থী নতুন হওয়ায় তার কাছ থেকে টাকা খেয়ে দুর্নীতি করার মাধ্যমে ওই অযোগ্য প্রার্থীকে তিনি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আশংকা রয়েছে যে অদূর ভবিষ্যতে বাহিরে অধ্যয়নরত আমাদের সহকর্মীরা তাদের কর্মস্থলে হয়তো ফেরত আসতে চাইবেন না আর। তাই ঐ প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করে সহকর্মী আকবর হোসেনের ন্যায্য অধিকার যেন দ্রুত ফিরেয়ে দেয়া হয়।