ইবির প্রথম বাসটি ভাস্কর্য হিসেবে চান শিক্ষার্থীরা

  • Update Time : ০৪:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
  • / 76

ইবি প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাস শিক্ষার্থীদের কাছে আবেগ ও ভালোবাসার নাম। প্রতিদিন এই বাসকেই ঘিরে তৈরি হয় নিত্য নতুন গল্প। আর সেটি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাস হয় তাহলে এর সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক ইতিহাস ও আবেগ-অনুভূতি। ৪৫ বছরেরও বেশি পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকের বাসটি(কুষ্টিয়া চ ০০১) দীর্ঘদিন অচল থাকায় নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কতৃপক্ষ। তবে এটিকে বিক্রি না করে স্থাপনা হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখার দাবি তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর গণস্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। উপচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এ স্মারকলিপি গ্রহন করেন। এতে প্রায় সাড়ে তিনশতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাস (কুষ্টিয়া চ ০০১) অনেকদিন আগে থেকেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা মনে করি এই বাসটির সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই বাসটি যদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের পাশে ভাস্কর্যের মত করে স্থাপন করা হয় তাহলে এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন স্থাপনা হিসেবে যুক্ত হবে। পাশাপাশি প্রথম বাস হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে বাসটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনগুলোতে শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়ছে। এতে করে পরিবহন পুলে যুক্ত করতে নতুন বাস কেনা জরুরী হয়ে উঠেছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বাসগুলো অচল হয়ে যায় সেগুলো একটি প্রক্রিয়ার মাধমে সরকারের কাছে হস্তান্তর করলে নতুন আরেক বাস কেনার অনুমতি পাওয়া যায়। আমরা যদি এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপনা হিসেবে রেখে দিই তাহলে এই বাসটির বিনিময়ে আমরা নতুন বাস পাবো না। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিবহন পুলে একটি বাস কম থাকবে।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, বাসটিকে স্থাপনা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখতে চাইলে এটার জন্য জায়গা বরাদ্দ ও সংরক্ষন করারও একটি বিষয় থাকে। তবে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিটি হাতে পেয়েছি এটি শীঘ্রই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে আলোচনা করে এ বিষয়ে তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন।

এবিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাসটি সংরক্ষণ করা হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। তবে পুরাতন বাস নিলামে দেওয়া হলে রেফারেন্সে ইউজিসি থেকে নতুন বাস পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সংরক্ষণ করলে আমরা নতুন বাস পাবো না। এখন বিষয়টি প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিলে সংরক্ষণ করা হবে।

শাহিন রাজা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়া
১৪.০৫.২০২৪

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ইবির প্রথম বাসটি ভাস্কর্য হিসেবে চান শিক্ষার্থীরা

Update Time : ০৪:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

ইবি প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাস শিক্ষার্থীদের কাছে আবেগ ও ভালোবাসার নাম। প্রতিদিন এই বাসকেই ঘিরে তৈরি হয় নিত্য নতুন গল্প। আর সেটি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাস হয় তাহলে এর সাথে জড়িয়ে থাকে অনেক ইতিহাস ও আবেগ-অনুভূতি। ৪৫ বছরেরও বেশি পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকের বাসটি(কুষ্টিয়া চ ০০১) দীর্ঘদিন অচল থাকায় নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কতৃপক্ষ। তবে এটিকে বিক্রি না করে স্থাপনা হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখার দাবি তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর গণস্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। উপচার্যের অনুপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এ স্মারকলিপি গ্রহন করেন। এতে প্রায় সাড়ে তিনশতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাস (কুষ্টিয়া চ ০০১) অনেকদিন আগে থেকেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা মনে করি এই বাসটির সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তাই এই বাসটি যদি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের পাশে ভাস্কর্যের মত করে স্থাপন করা হয় তাহলে এটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন স্থাপনা হিসেবে যুক্ত হবে। পাশাপাশি প্রথম বাস হিসেবে ইতিহাসের পাতায় থেকে যাবে বাসটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনগুলোতে শিক্ষার্থীদের চাপ বাড়ছে। এতে করে পরিবহন পুলে যুক্ত করতে নতুন বাস কেনা জরুরী হয়ে উঠেছে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বাসগুলো অচল হয়ে যায় সেগুলো একটি প্রক্রিয়ার মাধমে সরকারের কাছে হস্তান্তর করলে নতুন আরেক বাস কেনার অনুমতি পাওয়া যায়। আমরা যদি এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপনা হিসেবে রেখে দিই তাহলে এই বাসটির বিনিময়ে আমরা নতুন বাস পাবো না। সেক্ষেত্রে আমাদের পরিবহন পুলে একটি বাস কম থাকবে।

এছাড়া তিনি আরও বলেন, বাসটিকে স্থাপনা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখতে চাইলে এটার জন্য জায়গা বরাদ্দ ও সংরক্ষন করারও একটি বিষয় থাকে। তবে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিটি হাতে পেয়েছি এটি শীঘ্রই উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে আলোচনা করে এ বিষয়ে তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন।

এবিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বাসটি সংরক্ষণ করা হলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। তবে পুরাতন বাস নিলামে দেওয়া হলে রেফারেন্সে ইউজিসি থেকে নতুন বাস পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে সংরক্ষণ করলে আমরা নতুন বাস পাবো না। এখন বিষয়টি প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিলে সংরক্ষণ করা হবে।

শাহিন রাজা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
কুষ্টিয়া
১৪.০৫.২০২৪