নওগাঁর রাণীনগরে লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির দাম

  • Update Time : ০৬:১২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • / 48

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে মুরগির বাজার। ব্রয়লার, সোনালী, লাল লেয়ার, প্যারেন্ট (পাকিস্থানী) ও দেশীসহ সকল মুরগির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে মিলছে না মুরগি।

ক্রেতারা বলছেন, মুরগির বাচ্চা সরবরাহ ও খাবারসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিকই রয়েছে। কিন্তু খামারি ও ব্যবসায়ীরা যোগসাজসে সিন্ডিকেট তৈরি করে মুরগি দাম বাড়াচ্ছেন। নেই প্রশাসনের বাজার তদারকি। এ কারণে আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সাধারণ মানুষ অসহায়।

শনিবার ও রবিবার রাণীনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ১৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। সোনালী মুরগিও কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে লাল লেয়ার কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। লাল প্যারেন্ট (পাকিস্থানী) ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এটিও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আর দেশি মুরগি ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশির দাম ছিল ৬০০ টাকা। দেশি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা।

এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি। এক মাংস ব্যবসায়ী বলছেন, গত সপ্তাহেও গরুর মাংসের দাম একই ছিল, দাম বাড়েনি। তবে কিছুটা কমতির দিকে পেঁয়াজ ও সবজির বাজার। অন্যদিকে বেড়েছে রশুন ও আদার দাম। রশুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৭০ টাকা কেজি। রশুনের কেজিতে দাম বেড়েছে ৯০ টাকা। আদা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা।

বাজারে মুরগি কিনতে আসা যুবক আরমান হক জানান, ১৮০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি নিলাম। আর লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ কেজি কিনলাম। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহের মধ্যে সকল মুরগির দাম বেড়েছে। কাচা বাজার করার সময় লোমান হোসেন জানান, সবজি ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতির দিকে হলেও আদা ও রশুনের দাম দিগুন হয়েছে। তবে সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম বাড়েনি। শুধু আদা, রশুনের দাম বৃদ্ধি হয়েছে।

রাণীনগর বাজারের খুচরা মুরগি ব্যবসায়ী আবু রায়হান বলেন, মুরগি পাইকারী কিনতে আমাদের দাম বেশি পড়ছে। তাই বেশি দামে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় বাজার মনিটরিং করা হয়। বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে সকল ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত দামে সব কিছু বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরেও যদি কোন ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে মুরগিসহ সকল মাংস ও সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নওগাঁর রাণীনগরে লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির দাম

Update Time : ০৬:১২:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

মোঃ আব্দুল মালেক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে মুরগির বাজার। ব্রয়লার, সোনালী, লাল লেয়ার, প্যারেন্ট (পাকিস্থানী) ও দেশীসহ সকল মুরগির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার নির্ধারিত দামে বাজারে মিলছে না মুরগি।

ক্রেতারা বলছেন, মুরগির বাচ্চা সরবরাহ ও খাবারসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিকই রয়েছে। কিন্তু খামারি ও ব্যবসায়ীরা যোগসাজসে সিন্ডিকেট তৈরি করে মুরগি দাম বাড়াচ্ছেন। নেই প্রশাসনের বাজার তদারকি। এ কারণে আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সাধারণ মানুষ অসহায়।

শনিবার ও রবিবার রাণীনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ১৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। সোনালী মুরগিও কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে লাল লেয়ার কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। লাল প্যারেন্ট (পাকিস্থানী) ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এটিও কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আর দেশি মুরগি ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশির দাম ছিল ৬০০ টাকা। দেশি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা।

এছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজি। এক মাংস ব্যবসায়ী বলছেন, গত সপ্তাহেও গরুর মাংসের দাম একই ছিল, দাম বাড়েনি। তবে কিছুটা কমতির দিকে পেঁয়াজ ও সবজির বাজার। অন্যদিকে বেড়েছে রশুন ও আদার দাম। রশুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৭০ টাকা কেজি। রশুনের কেজিতে দাম বেড়েছে ৯০ টাকা। আদা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকা।

বাজারে মুরগি কিনতে আসা যুবক আরমান হক জানান, ১৮০ টাকা কেজির ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজি নিলাম। আর লাল লেয়ার মুরগি ৩১০ কেজি কিনলাম। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহের মধ্যে সকল মুরগির দাম বেড়েছে। কাচা বাজার করার সময় লোমান হোসেন জানান, সবজি ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতির দিকে হলেও আদা ও রশুনের দাম দিগুন হয়েছে। তবে সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজির দাম বাড়েনি। শুধু আদা, রশুনের দাম বৃদ্ধি হয়েছে।

রাণীনগর বাজারের খুচরা মুরগি ব্যবসায়ী আবু রায়হান বলেন, মুরগি পাইকারী কিনতে আমাদের দাম বেশি পড়ছে। তাই বেশি দামে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব সময় বাজার মনিটরিং করা হয়। বাজার মনিটরিংয়ে গিয়ে সকল ব্যবসায়ীদের সরকার নির্ধারিত দামে সব কিছু বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরেও যদি কোন ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে মুরগিসহ সকল মাংস ও সবজি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।