যবিপ্রবি চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

  • Update Time : ১২:০০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • / 528

মোস্তফা গালিব(যবিপ্রবি প্রতিনিধি)

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) “চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন অব জাস্টের” ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও একইসাথে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় নবীনবরন ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এরপর চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আঞ্চলিক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কিশোর মজুমদার। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক এবং চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ আল মামুন জিসান। ড. কিশোর মজুমদার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু প্রতিষ্ঠান নয় এটি এমন একটি জায়গা যেখানে তোমরা জ্ঞান অর্জন করতে এসেছো।
তোমাদের নিয়ে তোমাদের বাবা মার রয়েছে অনেক স্বপ্ন এবং এ স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব তোমাদেরই। জীবনের সব সময় সফল হবে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। কিন্তু সব সময় একটা টার্গেট রাখতে হবে এবং ওই টার্গেট অনুযায়ী সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।সবসময় যে বইয়ের মধ্যে মুখ বুজে থাকতে হবে তা নয় পড়ালেখা পাশাপাশি বিনোদনের দরকার রয়েছে জীবনে সবই করবে কিন্তু সবকিছু ব্যলেন্স রাখতে হবে।
আর এই এসোসিয়েশন যেন আরো বড় হোক এটাই দোয়া করি।”

মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন জিসান বলেন,”আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে হবে কি করতে চাই কোন ভাবে তা অর্জন করব সেই ভাবে আমাদের নিজেকে তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি আমাদের বাবা-মা স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমরা যে এতদূর আছি বাবা-মা অপেক্ষা করে যে আমার এইখান থেকেই কিছু একটা হয়ে বের হবো তাদের দিনশেষে এটাই প্রাপ্য।”

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আনাস আলো হোসাইন বলেন,”চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন হলো আমাদের আবেগ,আমাদের পরিবার।আমি যখন এখানে প্রথম এসেছিলাম,তখন নিজেকে খুব একা একা অনুভব হচ্ছিলো,অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম একসময়,আমারা কয়েকজন মিলে চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের সূচনা করেছিলাম। আমাদের অ্যাসোসিয়েশন হল অরাজনৈতিক।তাই আমাদের সকলের উচিত আমাদের অ্যাসোসিয়েশন যেন একটা পরিবারের মত থাকে সবসময়,কখনো কেউ যেন আমাদের ক্ষতি করতে না পারে,সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাব সবসময়। আমাদের স্যাররা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসেছেন,আমার একটাই চাওয়া আমাদের এই এসোসিয়েশন যেন পরিবার হয়ে থাকে।কেউ যেন আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের অপব্যবহার করতে না পারে।কারণ চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন হল আমার আবেগ,আপনাদের আবেগ।”

চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন,” চট্রগ্রামের এতো সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে এত দূরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার একমাত্র কারণ হচ্ছে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষিত মানুষের মতো মানুষ হওয়া।চট্রগ্রামে থাকলে খাবার, জীবন অতিবাহিত করার জন্য কোনো চিন্তা করতে হত না কিন্তু এতোদূরের জাস্টে এসে শিখতে পারছি কয়েক হাজার টাকা পকেটে নিয়ে কিভাবে মাস চালানো যায়, কিভাবে সবকিছু ম্যানেজ করতে হয়। যখন চট্রগ্রামের কোনো বড় ভাই বা জুনিয়রকে দেখি তখন মনে হয় পরিবারের কাউকে পাইছি। জাস্টের বুকে চট্রগ্রাম এসোসিয়েশন আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।””

চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনে নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন সাইদুল ইসলাম রাহাত ও মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ। এছাড়া বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন রুদ্র পল্লব ও নয়ন দেবনাথ । আলোচনা পর্ব শেষে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


যবিপ্রবি চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

Update Time : ১২:০০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

মোস্তফা গালিব(যবিপ্রবি প্রতিনিধি)

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) “চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন অব জাস্টের” ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও একইসাথে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় নবীনবরন ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এরপর চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আঞ্চলিক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ও ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. কিশোর মজুমদার। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক এবং চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ আল মামুন জিসান। ড. কিশোর মজুমদার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শুধু প্রতিষ্ঠান নয় এটি এমন একটি জায়গা যেখানে তোমরা জ্ঞান অর্জন করতে এসেছো।
তোমাদের নিয়ে তোমাদের বাবা মার রয়েছে অনেক স্বপ্ন এবং এ স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব তোমাদেরই। জীবনের সব সময় সফল হবে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। কিন্তু সব সময় একটা টার্গেট রাখতে হবে এবং ওই টার্গেট অনুযায়ী সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।সবসময় যে বইয়ের মধ্যে মুখ বুজে থাকতে হবে তা নয় পড়ালেখা পাশাপাশি বিনোদনের দরকার রয়েছে জীবনে সবই করবে কিন্তু সবকিছু ব্যলেন্স রাখতে হবে।
আর এই এসোসিয়েশন যেন আরো বড় হোক এটাই দোয়া করি।”

মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মামুন জিসান বলেন,”আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে হবে কি করতে চাই কোন ভাবে তা অর্জন করব সেই ভাবে আমাদের নিজেকে তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি আমাদের বাবা-মা স্বপ্ন পূরণ করতে হবে আমরা যে এতদূর আছি বাবা-মা অপেক্ষা করে যে আমার এইখান থেকেই কিছু একটা হয়ে বের হবো তাদের দিনশেষে এটাই প্রাপ্য।”

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আনাস আলো হোসাইন বলেন,”চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন হলো আমাদের আবেগ,আমাদের পরিবার।আমি যখন এখানে প্রথম এসেছিলাম,তখন নিজেকে খুব একা একা অনুভব হচ্ছিলো,অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম একসময়,আমারা কয়েকজন মিলে চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনের সূচনা করেছিলাম। আমাদের অ্যাসোসিয়েশন হল অরাজনৈতিক।তাই আমাদের সকলের উচিত আমাদের অ্যাসোসিয়েশন যেন একটা পরিবারের মত থাকে সবসময়,কখনো কেউ যেন আমাদের ক্ষতি করতে না পারে,সেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাব সবসময়। আমাদের স্যাররা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এসেছেন,আমার একটাই চাওয়া আমাদের এই এসোসিয়েশন যেন পরিবার হয়ে থাকে।কেউ যেন আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের অপব্যবহার করতে না পারে।কারণ চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন হল আমার আবেগ,আপনাদের আবেগ।”

চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ বলেন,” চট্রগ্রামের এতো সুযোগ-সুবিধা ছেড়ে এত দূরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার একমাত্র কারণ হচ্ছে যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষিত মানুষের মতো মানুষ হওয়া।চট্রগ্রামে থাকলে খাবার, জীবন অতিবাহিত করার জন্য কোনো চিন্তা করতে হত না কিন্তু এতোদূরের জাস্টে এসে শিখতে পারছি কয়েক হাজার টাকা পকেটে নিয়ে কিভাবে মাস চালানো যায়, কিভাবে সবকিছু ম্যানেজ করতে হয়। যখন চট্রগ্রামের কোনো বড় ভাই বা জুনিয়রকে দেখি তখন মনে হয় পরিবারের কাউকে পাইছি। জাস্টের বুকে চট্রগ্রাম এসোসিয়েশন আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।””

চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশনে নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রথম বর্ষ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন সাইদুল ইসলাম রাহাত ও মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ। এছাড়া বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন রুদ্র পল্লব ও নয়ন দেবনাথ । আলোচনা পর্ব শেষে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান।