শিবিরের মিছিলের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্রলীগের মশাল মিছিল

  • Update Time : ১০:৩৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • / 145

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

রাজধানীর মতিঝিলে ছাত্র শিবিরের মিছিলের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের ব্যানারে মিছিলটি করা হলেও মিছিলকারীরা মূলত ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মশাল মিছিলটি ঢাবির ডাস চত্বরে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে শাহবাগে ঘুরে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

এ সময় মিছিলকারীরা ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি; মৌলবাদের আস্তানা, বাংলাদেশে হবে না; একাত্তরের হাতিয়ার/বায়ান্নর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; অ্যাকশন অ্যাকশন/ জামাতের বিরুদ্ধে/ মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; জামাত-শিবিরের ঠিকানা বাংলাদেশে/ এ ক্যাম্পাসে হবে না’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক ইউসুফ তুহিন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন চাই না। আজকে মতিঝিলে একদল রাজাকারের দোষর মিছিল করেছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিতে চাই যদি তাদেরকে ঢাবি ক্যাম্পাস বা দেশের কোথাও এমন সাম্প্রদায়িক কাজ দেখা যায় তাহলে ঢাবি শিক্ষার্থীরা এবং প্রগতিশীল মানুষরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবে। যেই দেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তে এবং ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, সে দেশে আমরা এমন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধতার দাবি জানাই।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আজকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির মতিঝিলে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজকের এই মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার একটি পদক্ষেপ।

আগামীকাল(১২ অক্টোবর) ছাত্র কনভেনশনের লক্ষে তারা এই মিছিল বের করেছে উল্লেখ করে সৈকত বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ঢাবি সহ সকল ক্যাম্পাসে লাশের রাজনীতি কায়েমের চেষ্টার অংশ। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের নিশ্চয়তা চাই। বিগত ১৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সেশনজটে পড়তে হয়নি, কোনো ছাত্র হত্যা হয়নি, শিক্ষাঙ্গনে কোনো লাশ নিয়ে মিছিল করতে হয়নি। কোনো ধরনের ককটেল বোমা ফোটেনি কিন্তু লন্ডন থেকে যারা টেকসেশন দিবে লাশের রাজনীতি করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থান নিব।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, রক্তের হোলি খেলবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েই দেশকে স্বাধীন করেছে। সুতরাং আগামীকালের কনভেনশনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে লাশের রাজত্ব কায়েমের অপচেষ্টা করবেন না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও কাজ করে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে বলেও হুঁঁশিয়ারি দেন তানভীর হাসান সৈকত।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সদস্য পারিশা মেহজাবিনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাশেদ হোসেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক বিল্লাহ, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সদস্য কথক বিশ্বাস জয়, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমাইয়া জান্নাত সারা প্রমুখ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


শিবিরের মিছিলের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্রলীগের মশাল মিছিল

Update Time : ১০:৩৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

রাজধানীর মতিঝিলে ছাত্র শিবিরের মিছিলের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের ব্যানারে মিছিলটি করা হলেও মিছিলকারীরা মূলত ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মশাল মিছিলটি ঢাবির ডাস চত্বরে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে দিয়ে শাহবাগে ঘুরে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

এ সময় মিছিলকারীরা ‘তুমি কে আমি কে, বাঙালি বাঙালি; মৌলবাদের আস্তানা, বাংলাদেশে হবে না; একাত্তরের হাতিয়ার/বায়ান্নর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; অ্যাকশন অ্যাকশন/ জামাতের বিরুদ্ধে/ মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন; জামাত-শিবিরের ঠিকানা বাংলাদেশে/ এ ক্যাম্পাসে হবে না’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক ইউসুফ তুহিন বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন চাই না। আজকে মতিঝিলে একদল রাজাকারের দোষর মিছিল করেছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিতে চাই যদি তাদেরকে ঢাবি ক্যাম্পাস বা দেশের কোথাও এমন সাম্প্রদায়িক কাজ দেখা যায় তাহলে ঢাবি শিক্ষার্থীরা এবং প্রগতিশীল মানুষরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবে। যেই দেশ ৩০ লাখ শহীদের রক্তে এবং ২ লাখ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে, সে দেশে আমরা এমন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধতার দাবি জানাই।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আজকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির মতিঝিলে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আজকের এই মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার একটি পদক্ষেপ।

আগামীকাল(১২ অক্টোবর) ছাত্র কনভেনশনের লক্ষে তারা এই মিছিল বের করেছে উল্লেখ করে সৈকত বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ঢাবি সহ সকল ক্যাম্পাসে লাশের রাজনীতি কায়েমের চেষ্টার অংশ। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের নিশ্চয়তা চাই। বিগত ১৫ বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো সেশনজটে পড়তে হয়নি, কোনো ছাত্র হত্যা হয়নি, শিক্ষাঙ্গনে কোনো লাশ নিয়ে মিছিল করতে হয়নি। কোনো ধরনের ককটেল বোমা ফোটেনি কিন্তু লন্ডন থেকে যারা টেকসেশন দিবে লাশের রাজনীতি করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আমরা শক্ত অবস্থান নিব।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, রক্তের হোলি খেলবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েই দেশকে স্বাধীন করেছে। সুতরাং আগামীকালের কনভেনশনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে লাশের রাজত্ব কায়েমের অপচেষ্টা করবেন না। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও কাজ করে যাবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে বলেও হুঁঁশিয়ারি দেন তানভীর হাসান সৈকত।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের আহ্বায়ক এবং ঢাবি ছাত্রলীগের সদস্য পারিশা মেহজাবিনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাশেদ হোসেন, উন্মুক্ত লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক বিল্লাহ, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সদস্য কথক বিশ্বাস জয়, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি সুমাইয়া জান্নাত সারা প্রমুখ।