নতুন ভূমি অপরাধ আইনে কক্সবাজারে প্রথম মামলা!

  • Update Time : ১০:৫৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / 301

কক্সবাজার প্রতিনিধি :-

নতুন ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইনে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চজ্ঞ্যা’র আদালতে মামলা করেছে ছৈয়দ আলম নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি কার্যকর হওয়া ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ এ দায়েরকৃত কক্সবাজারে এটি প্রথম মামলা।

সোমবার, (৯ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত কক্সবাজার সদর ওসিকে তদন্তের আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, কলাতলীতে বন্দোবস্ত মুলে মালিক মৃত গুরা মিয়ার ২.৩৪ শতক জমি বিগত ১৯৯৫ সালে এম এ হাসিব বাদল নামে এক ব্যক্তি মৌখিক দান এবং বে-রেজিষ্ট্রীকৃত দলিল দেখিয়ে দখল করে রেখেছে।
গুরা মিয়ার ওয়ারিশ ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর আলোকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চজ্ঞ্যা’র আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন।
বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।

বাদীর পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সম্যক দৃষ্টি বড়ুয়া(এস ডি বাবু) জানান, নতুন ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৪,৫,৭(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এটি কক্সবাজারের প্রথম নতুন ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইনের মামলা।
তিনি আরো জানান, নতুন আইনের যে ধারা গুলা দেওয়া রয়েছে সেগুলা যদি প্রমানিত হয় তাহলে ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

নতুন আইনে যা উল্লেখ রয়েছে, ভূমি প্রতারণা, জালিয়াতি অবৈধ দখলের মামলা ১৮০ দিন বা ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩’ চূড়ান্ত করা পাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভূমি প্রতারণা, জালিয়াতি, অবৈধ দখলের মতো ১২ টি অপরাধ চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড বিধান রাখা হয়েছে আইনটিতে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নতুন ভূমি অপরাধ আইনে কক্সবাজারে প্রথম মামলা!

Update Time : ১০:৫৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

কক্সবাজার প্রতিনিধি :-

নতুন ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইনে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চজ্ঞ্যা’র আদালতে মামলা করেছে ছৈয়দ আলম নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি কার্যকর হওয়া ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ এ দায়েরকৃত কক্সবাজারে এটি প্রথম মামলা।

সোমবার, (৯ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলার অভিযোগের বিষয়টি আমলে নিয়ে শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত কক্সবাজার সদর ওসিকে তদন্তের আদেশ দেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, কলাতলীতে বন্দোবস্ত মুলে মালিক মৃত গুরা মিয়ার ২.৩৪ শতক জমি বিগত ১৯৯৫ সালে এম এ হাসিব বাদল নামে এক ব্যক্তি মৌখিক দান এবং বে-রেজিষ্ট্রীকৃত দলিল দেখিয়ে দখল করে রেখেছে।
গুরা মিয়ার ওয়ারিশ ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩ এর আলোকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চজ্ঞ্যা’র আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন।
বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।

বাদীর পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সম্যক দৃষ্টি বড়ুয়া(এস ডি বাবু) জানান, নতুন ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ৪,৫,৭(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এটি কক্সবাজারের প্রথম নতুন ভূমি অপরাধ ও প্রতিকার আইনের মামলা।
তিনি আরো জানান, নতুন আইনের যে ধারা গুলা দেওয়া রয়েছে সেগুলা যদি প্রমানিত হয় তাহলে ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

নতুন আইনে যা উল্লেখ রয়েছে, ভূমি প্রতারণা, জালিয়াতি অবৈধ দখলের মামলা ১৮০ দিন বা ৬ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করার বিধান রেখে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩’ চূড়ান্ত করা পাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভূমি প্রতারণা, জালিয়াতি, অবৈধ দখলের মতো ১২ টি অপরাধ চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদণ্ড বিধান রাখা হয়েছে আইনটিতে।