ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মিছিল-সমাবেশ
- Update Time : ০৪:২১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
- / 354
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংহতি সমাবেশ ও মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক সমাবেশে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন তারা।
সমাবেশ থেকে ফিলিস্তিনের হামাস বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ‘অপারেশন তুফান আল আকসা’ এর প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
এসময় ‘ইসরায়েল মুরতাবাদ, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’ ‘ইন্তিফাদা, ইন্তিফাদা’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তিপাক’ ইত্যাদি বলেও স্লোগান দিতে থাকেন সংহতি সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ‘আজকে আমাদের দেহ এখানে থাকলেও আমরা মানসিকভাবে তাদের সাথে আছি। আমাদের দেশে চক্রান্ত হচ্ছে যে ইসরায়েলের সাথে আমরা নরমালাইজেশনে যাব।
এর প্রক্রিয়া হিসেবে আমাদের পাসপোর্ট থেকে এক্সসেপ্ট ইসরায়েল তুলে দেওয়া হয়েছে। সংহতি সমাবেশ থেকে আমাদের একটা দাবি থাকবে আমাদের পাসপোর্টে আবারও সেই লেখাটি পুনআবর্তন করা হোক।’
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আজকে ফিলিস্তিনের যেসকল মুক্তিকামী স্বাধীনতাকামী ভাই বোনেরা তাদের প্রাণের বিনিময়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে এই নাপাক জাতি থেকে তাদের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
ফিলিস্তিনের প্রতিবাদী জনতার সম্প্রতি পরিচালিত তুফান আল আকসার প্রতি আমরা সংহতি প্রকাশ করছি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমরা বার্তা দিতে চাই যে অবৈধ ভাবে দখলদারিত্ব করে তারা টিকে থাকতে পারবে না।’
ঢাবি শিক্ষার্থী জালালুদ্দিন মুহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘আজ ফিলিস্তিন যে প্রতিরোধের সময়টা পার করছে, তা আমাদের বাংলাদেশিদের জন্য অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক, যেহেতু আমরাও এই সময়টা পার করে এসেছি। এই ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশ থেকে সবার আগে সংহতি প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু আমরা এখনও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রকার সংহতি প্রকাশের খবর পাইনি। আজকের ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে নিজ ভূমি থেকে দখলদারদের উৎখাত করতে হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ যারা আক্রমণ কারা আগে করেছে এই প্রশ্ন তুলছে। তারা হচ্ছে স্বৈরাচারের দোসর। যেখানে আমাদের বাড়ি-ঘর দখল করে, আমাদের শিশুসন্তান, মা-বোনদের ওপর হামলা করছে। সেখানে কে আগে হামলা করবে সেটা তো জানা কথা। যারা নির্যাতনের শিকার তারাই তো প্রতিরোধ করবে।’
ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক আবদুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ‘ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের মা-বোনেরা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। ১৯৭১ সালে আমাদের মা-বোনেরাও পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছে।
কাজেই তাদের ব্যথাটা আমরা অনুভব করতে পারি। আমাদের বাংলাদেশ সেই স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি জানিয়ে আসছে। আজকে আমরা সেই সংহতি জানানোর জন্যই একত্রিত হয়ে হয়েছি।’
সংহতি সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর, মল চত্বর, শ্যাডো, কলা ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ চত্বর, কেন্দ্রীয় মসজিদ ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আসে।