মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে, নিহত-১ আহত-১০

  • Update Time : ১১:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 148

মিরসরাই(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

মিরসরাইয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে, এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময়, উভয় পক্ষের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আজমপুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।আজমপুর বাজার এলাকায় একটি পানি বিক্রির দোকানের কর্মচারী ছিল নিহত কিশোর জাহেদ। সংঘর্ষে আহত কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রঘোষিত আগামী ৫ই অক্টোবরের ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ সফল করতে আজমপুর বাজারসংলগ্ন এলাকায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের বাড়িতে একটি প্রস্তুতি সভা ডাকে বিএনপি। সভা শেষে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আজমপুর বাজার এলাকায় এলে সেখানে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় কিশোর জাহেদ দোকান থেকে বেরিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার মাথায় কিছু একটা এসে পড়ে। এতে সে অচেতন হয়ে পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী নিহত কিশোরকে ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সমাবেশে একতরফা হামলা চালানো হয়েছে।তবে নিহত জাহেদ হাসানের চাচা আবুল হোসেন জানান, তার ভাতিজা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জাহেদ উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় গুচ্ছগ্রামের মৃত নূর জামানের ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর মা ও তারা তিন ভাই আজমপুর এলাকায় নানার বাড়িতে থাকতো নিহত কিশোর। মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আজমপুর বাজারে দুই পক্ষের মারামারিতে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে, নিহত-১ আহত-১০

Update Time : ১১:০১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মিরসরাই(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

মিরসরাইয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষে, এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ সময়, উভয় পক্ষের অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আজমপুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।আজমপুর বাজার এলাকায় একটি পানি বিক্রির দোকানের কর্মচারী ছিল নিহত কিশোর জাহেদ। সংঘর্ষে আহত কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, কেন্দ্রঘোষিত আগামী ৫ই অক্টোবরের ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ সফল করতে আজমপুর বাজারসংলগ্ন এলাকায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের বাড়িতে একটি প্রস্তুতি সভা ডাকে বিএনপি। সভা শেষে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আজমপুর বাজার এলাকায় এলে সেখানে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় কিশোর জাহেদ দোকান থেকে বেরিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার মাথায় কিছু একটা এসে পড়ে। এতে সে অচেতন হয়ে পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী নিহত কিশোরকে ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সমাবেশে একতরফা হামলা চালানো হয়েছে।তবে নিহত জাহেদ হাসানের চাচা আবুল হোসেন জানান, তার ভাতিজা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জাহেদ উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাপাহাড় গুচ্ছগ্রামের মৃত নূর জামানের ছেলে। বাবা মারা যাওয়ার পর মা ও তারা তিন ভাই আজমপুর এলাকায় নানার বাড়িতে থাকতো নিহত কিশোর। মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আজমপুর বাজারে দুই পক্ষের মারামারিতে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।