নোবিপ্রবিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অংশীজনের মতবিনিময় সভা

  • Update Time : ০৮:৩০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / 210

এস আহমেদ ফাহিম, নোবিপ্রবি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ২০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) নোবিপ্রবির বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়াম ভবনের আইকিউএসি সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।

আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘কী নোট স্পিকার’ হিসেবে ছিলেন নোবিপ্রবি’র ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহাদ হোসেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) অজিত দেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন এবং নোয়াখালী জেলার দুর্নীতি দমন কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব মো: ফারুক আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজুল করিম বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মো: শাজাহানসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও অ্যালামনাই প্রতিনিধিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নোবিপ্রবি আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক মো: মোহাইমিনুল ইসলাম সেলিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘নৈতিকতা বিষয়টি পরিবার থেকে আসে। সৎ বাবা-মা, বন্ধুবান্ধব, পরিবেশ এসবের মাধ্যমে একজন সৎ মানুষ তৈরী হয়। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ আগে নিজে সৎ হয়ে পরে অন্যকে সৎ হওয়ার পরামর্শ দেয়া। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুইটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো- নিজে সৎ থাকা, আর অন্যটি হলো- অন্যায়ের সঠিক শাস্তি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে একই সঙ্গে নোবিপ্রবিও এগিয়ে যাবে। তিনি আমাকে যে বিশ্বাস করে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করবো। আজকের আয়োজনে যারা এসেছেন এবং মূল্যবান মতামত দিয়েছেন সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, ‘প্রথমেই আজকের এই সভায় আগত সুধীজনদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমাদের আচার-আচরণে সচেতন থাকবো এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করবো। আয়োজকদের সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের তুলনায় আমরা বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো অবস্থায় আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরগুলো নিজ নিজ অবস্থানে সততার সাথে সেবা প্রদান করে চলেছে। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কেউ হয়রানির স্বীকার হয়না। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাদেরকে একজন সৎ উপাচার্য দিয়েছেন যার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

নোয়াখালীর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) অজিত দেব এ ধরনের অংশীজন সভা আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এই বিষয়গুলো মেনে যদি কোন রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য কিছু বিধিবদ্ধ কাঠামো নির্ধারণ করে তাই হলো সুশাসন। রাষ্ট্রীয় এবং অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সুশাসন প্রয়োজন। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রয়োগের যে নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো আমাদেরকে মেনে চলতে হবে। বর্তমান সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদেরকেও পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে শুরু করতে হবে এর চর্চা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে এ ধরণের অংশীজন সভা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও একাডেমিক কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণায় বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের র‌্যাঙ্কিংয়ে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে নোবিপ্রবি। একই সাথে গবেষণা ও প্রকাশনা ক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক সময়ে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, শিক্ষক সমাজ সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নোবিপ্রবিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অংশীজনের মতবিনিময় সভা

Update Time : ০৮:৩০:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এস আহমেদ ফাহিম, নোবিপ্রবি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ২০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) নোবিপ্রবির বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়াম ভবনের আইকিউএসি সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।

আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘কী নোট স্পিকার’ হিসেবে ছিলেন নোবিপ্রবি’র ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহাদ হোসেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) অজিত দেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন এবং নোয়াখালী জেলার দুর্নীতি দমন কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব মো: ফারুক আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজুল করিম বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মো: শাজাহানসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও অ্যালামনাই প্রতিনিধিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নোবিপ্রবি আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক মো: মোহাইমিনুল ইসলাম সেলিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘নৈতিকতা বিষয়টি পরিবার থেকে আসে। সৎ বাবা-মা, বন্ধুবান্ধব, পরিবেশ এসবের মাধ্যমে একজন সৎ মানুষ তৈরী হয়। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ আগে নিজে সৎ হয়ে পরে অন্যকে সৎ হওয়ার পরামর্শ দেয়া। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুইটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো- নিজে সৎ থাকা, আর অন্যটি হলো- অন্যায়ের সঠিক শাস্তি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে একই সঙ্গে নোবিপ্রবিও এগিয়ে যাবে। তিনি আমাকে যে বিশ্বাস করে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করবো। আজকের আয়োজনে যারা এসেছেন এবং মূল্যবান মতামত দিয়েছেন সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, ‘প্রথমেই আজকের এই সভায় আগত সুধীজনদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমাদের আচার-আচরণে সচেতন থাকবো এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করবো। আয়োজকদের সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের তুলনায় আমরা বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো অবস্থায় আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরগুলো নিজ নিজ অবস্থানে সততার সাথে সেবা প্রদান করে চলেছে। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কেউ হয়রানির স্বীকার হয়না। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাদেরকে একজন সৎ উপাচার্য দিয়েছেন যার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

নোয়াখালীর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) অজিত দেব এ ধরনের অংশীজন সভা আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এই বিষয়গুলো মেনে যদি কোন রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য কিছু বিধিবদ্ধ কাঠামো নির্ধারণ করে তাই হলো সুশাসন। রাষ্ট্রীয় এবং অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সুশাসন প্রয়োজন। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রয়োগের যে নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো আমাদেরকে মেনে চলতে হবে। বর্তমান সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদেরকেও পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে শুরু করতে হবে এর চর্চা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’

অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে এ ধরণের অংশীজন সভা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও একাডেমিক কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণায় বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের র‌্যাঙ্কিংয়ে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে নোবিপ্রবি। একই সাথে গবেষণা ও প্রকাশনা ক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক সময়ে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, শিক্ষক সমাজ সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।