৫ ছেলের ঘরে ঠাঁই হয় নাই বৃদ্ধ বাবা- মার

  • Update Time : ০৮:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / 97

মোঃ ইমরুল হাসান চৌহালী(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে প্রায় দুই মাস আগে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে যমুনার চরে ফেলে রেখে যায় ছেলেরা। উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ মো. হামিদ মোল্লা (৮৬), বৃদ্ধা ফজিলা খাতুন (৭৭)। দীর্ঘদিন পাঁচ ছেলে ভাগাভাগি করে বৃদ্ধ পিতা-মাতার ভরনপোষণ করে আসছিলো। দিন দিন তারা কর্মক্ষম হওয়ায় অযত্ন ও অবহেলা বাড়তে থাকে।

নদী ভাঙনের কারণে একেক ছেলে একেক এলাকায় বাড়ি করে বসবাস করছে।
প্রায় ২ মাস আগে সেঝু ছেলে এর বউ মানিকগঞ্জের বাড়ি থেকে হাঁপানিয়া চরে পাঠিয়ে দেয়। চরে ভাগ্নের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও তারাও অবহেলা করতে থাকে এবং কয়েকদিন আগে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে তাদের মেয়ের বাড়ি সংলগ্ন সম্ভুদিয়া কবরস্থানে রেখে যায়। স্থানীয়রা দেখে মেয়েকে জানালে তখন সে বাড়িতে তোলে। সরেজমিনে দেখা যায় তাদের মেয়ে স্বামীহারা হয়েছেন অনেক আগে এবং এখন তিনি বৃদ্ধ হওয়ায় বাবা-মা’র ভরণপোষণ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
বড় মেয়ে মোছাঃ মনোয়ারা খাতুন বলেন, আমি নিজেই সন্তানের সংসারের থাকি প্রায় বৃদ্ধ হয়ে গেছি। আমার পাঁচ ভাইয়ের কেউ বাবা মাকে ভরনপোষণ দিবে না৷ এই বৃদ্ধ বয়সে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিছে। ভিটে বাড়ি যা ছিলো সব ভাইয়েরা বিক্রি করে দিছে। কয়েক দিন আগে আমার বাড়ির পাশে ফুপাতো ভাই কিছু না জানিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। অভাব অনটনের সংসারে বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা মাকে ভরণপোষণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে৷

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


৫ ছেলের ঘরে ঠাঁই হয় নাই বৃদ্ধ বাবা- মার

Update Time : ০৮:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

মোঃ ইমরুল হাসান চৌহালী(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে প্রায় দুই মাস আগে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে যমুনার চরে ফেলে রেখে যায় ছেলেরা। উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নের হাপানিয়া গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ মো. হামিদ মোল্লা (৮৬), বৃদ্ধা ফজিলা খাতুন (৭৭)। দীর্ঘদিন পাঁচ ছেলে ভাগাভাগি করে বৃদ্ধ পিতা-মাতার ভরনপোষণ করে আসছিলো। দিন দিন তারা কর্মক্ষম হওয়ায় অযত্ন ও অবহেলা বাড়তে থাকে।

নদী ভাঙনের কারণে একেক ছেলে একেক এলাকায় বাড়ি করে বসবাস করছে।
প্রায় ২ মাস আগে সেঝু ছেলে এর বউ মানিকগঞ্জের বাড়ি থেকে হাঁপানিয়া চরে পাঠিয়ে দেয়। চরে ভাগ্নের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও তারাও অবহেলা করতে থাকে এবং কয়েকদিন আগে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে তাদের মেয়ের বাড়ি সংলগ্ন সম্ভুদিয়া কবরস্থানে রেখে যায়। স্থানীয়রা দেখে মেয়েকে জানালে তখন সে বাড়িতে তোলে। সরেজমিনে দেখা যায় তাদের মেয়ে স্বামীহারা হয়েছেন অনেক আগে এবং এখন তিনি বৃদ্ধ হওয়ায় বাবা-মা’র ভরণপোষণ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
বড় মেয়ে মোছাঃ মনোয়ারা খাতুন বলেন, আমি নিজেই সন্তানের সংসারের থাকি প্রায় বৃদ্ধ হয়ে গেছি। আমার পাঁচ ভাইয়ের কেউ বাবা মাকে ভরনপোষণ দিবে না৷ এই বৃদ্ধ বয়সে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিছে। ভিটে বাড়ি যা ছিলো সব ভাইয়েরা বিক্রি করে দিছে। কয়েক দিন আগে আমার বাড়ির পাশে ফুপাতো ভাই কিছু না জানিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। অভাব অনটনের সংসারে বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা মাকে ভরণপোষণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে৷