ভোটাধিকার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ছাত্র ফেডারেশনের বিক্ষোভ
- Update Time : ০৯:৫৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
- / 132
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি
নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ও জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।
তবে সমাবেশে তারা ছাত্র ফেডারেশনের ব্যানার ব্যবহার না করে ভোটাধিকারের দাবিতে ছাত্র সমাজের ব্যানার থেকে এ কর্মসূচি পালন করে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে বিক্ষোভ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে একটি সমাবেশও করে তারা ।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ভোটাধিকারের দাবিতে ছাত্রসমাজের সংগঠক আরমানুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সৈকত আরিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারহানা মুনাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির সঙ্গে আন্তর্জাতিক যেসব পক্ষ থাকবে না তাদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে এ দেশের জনগণ নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে।
সমাবেশে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে র্নিদলীয় সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। কেন না বিগত দুটি নির্বাচন (২০১৪ ও ২০১৮) দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে, এবং দুটি নির্বাচনেই জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে আমরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পক্ষের বিভিন্ন তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি। আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশে সুষ্টু নির্বাচন কোনো দলের দাবি নয়, বরং জনগণের দাবি।’
সভাপতির বক্তব্যে আরমানুল হক বলেন, ভোটাধিকার না থাকলে সমাজে গণতান্ত্রিক পরিসর ক্রমাগত সংকুচিত হতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত হওয়ায় এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা কতটা শোচনীয় হয়েছে সেটা আমাদের সবার কাছে পরিষ্কার হয়েছে। ঢাবিসহ সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণরুম-গেস্টরুমের নামে শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন-নির্যাতন করা হচ্ছে। জোর করে মিছিল মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এসময় স্থায়ীভাবে জনগণের ভোটাধিকার কায়েম করতে পারলে দেশে গণতান্ত্রিক পরিসর বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।