পিরোজপুরে কীটনাশক পানে মা-ছেলের মৃত্যু

  • Update Time : ১১:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩
  • / 151

জেলা প্রতিনিধি

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় কীটনাশক পানে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলছেন, দাম্পত্য কলহের জেরে ছেলেকে প্রথমে কীটনাশক পান করিয়ে মা বিষ পান করে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।

নিহতরা হলেন- উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) চালক মো. রুবেলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৬) এবং তার আট বছর বয়সী ছেলে মো. হৃদয়।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কীটনাশক পানের পর মা ও ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা তাদের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রোজিনা বেগমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পথে তার মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ফেরদৌস ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর হৃদয় মারা যায়। রোজিনা বেগমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মা ও ছেলে কীটনাশক পান করেছিলেন। তাদের মুখ থেকে গন্ধ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, রুবেলের সঙ্গে তার স্ত্রী রোজিনা বেগমের দাম্পত্য কলহ চলছিল। ঘটনার সময় রুবেল বাড়িতে ছিলেন না। তখন মা ও ছেলে কীটনাশক পান করেন।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে- তাদের বিষপানে মৃত্যু হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পিরোজপুরে কীটনাশক পানে মা-ছেলের মৃত্যু

Update Time : ১১:২৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় কীটনাশক পানে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলছেন, দাম্পত্য কলহের জেরে ছেলেকে প্রথমে কীটনাশক পান করিয়ে মা বিষ পান করে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন।

নিহতরা হলেন- উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) চালক মো. রুবেলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৬) এবং তার আট বছর বয়সী ছেলে মো. হৃদয়।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কীটনাশক পানের পর মা ও ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা তাদের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক হৃদয়কে মৃত ঘোষণা করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য রোজিনা বেগমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পথে তার মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ফেরদৌস ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর হৃদয় মারা যায়। রোজিনা বেগমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মা ও ছেলে কীটনাশক পান করেছিলেন। তাদের মুখ থেকে গন্ধ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, রুবেলের সঙ্গে তার স্ত্রী রোজিনা বেগমের দাম্পত্য কলহ চলছিল। ঘটনার সময় রুবেল বাড়িতে ছিলেন না। তখন মা ও ছেলে কীটনাশক পান করেন।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে- তাদের বিষপানে মৃত্যু হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।