বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত, বিপৎসীমার ওপরে মুহুরির প্রবাহ

  • Update Time : ০৩:১১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / 151

জেলা প্রতিনিধি

ফেনীতে অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরি নদীর বাঁধের তিনটি স্থানে ভেঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেসঙ্গে মুহুরি নদীতে পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান ভূঞা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল বাঁধ ভাঙ্গনের সময় এ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও সোমবার রাতে পানির প্রবাহ কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে।

এর আগে, বাঁধ ভেঙ্গে ৭০ হেক্টর জমির আমন আবাদ পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচ এম মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি জানান, ফসল ও মৎস্যের ক্ষতি নিরূপণে মঙ্গলবার সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে দুই উপজেলার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের বরইয়া ও উত্তর দৌলতপুর এলাকায় বাঁধ ভাঙনে প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্যে উত্তর বরইয়া, বিজয়পুর, দক্ষিণ বরইয়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর অন্যতম। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অলকা গ্রামে মুহুরি নদীর বাঁধ ভাঙনে নোয়াপুর, পশ্চিম এলাকা ও ধনীকুন্ডা গ্রামের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে।

বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, নগদ দুই লাখ টাকা ও তিন টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দূর্গতদের মাঝে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত, বিপৎসীমার ওপরে মুহুরির প্রবাহ

Update Time : ০৩:১১:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩

জেলা প্রতিনিধি

ফেনীতে অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরি নদীর বাঁধের তিনটি স্থানে ভেঙে অন্তত ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেসঙ্গে মুহুরি নদীতে পানির প্রবাহ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান ভূঞা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল বাঁধ ভাঙ্গনের সময় এ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকলেও সোমবার রাতে পানির প্রবাহ কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার আবার পানি বাড়তে শুরু করেছে।

এর আগে, বাঁধ ভেঙ্গে ৭০ হেক্টর জমির আমন আবাদ পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এইচ এম মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি জানান, ফসল ও মৎস্যের ক্ষতি নিরূপণে মঙ্গলবার সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে দুই উপজেলার ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের বরইয়া ও উত্তর দৌলতপুর এলাকায় বাঁধ ভাঙনে প্লাবিত গ্রামগুলোর মধ্যে উত্তর বরইয়া, বিজয়পুর, দক্ষিণ বরইয়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর অন্যতম। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম অলকা গ্রামে মুহুরি নদীর বাঁধ ভাঙনে নোয়াপুর, পশ্চিম এলাকা ও ধনীকুন্ডা গ্রামের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে।

বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, নগদ দুই লাখ টাকা ও তিন টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দূর্গতদের মাঝে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।