সাংবাদিক ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে জবিসাসের মানববন্ধন

  • Update Time : ০৪:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / 149

জবি প্রতিবেদক,

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা।

রবিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমিতির সদস্যরা।

মানববন্ধনে জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান তানভীর বলেন, সংবাদ যদি মিথ্যা সংবাদ হয়ে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংশ্লিষ্ট মিডিয়া হাউজে প্রতিবাদ লিপি কিংবা আইনী প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজ প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে কোন কারণ দর্শানো বাদেই ওই শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতার অপব্যবহারসহ শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করেছেন উপাচার্য। অতিদ্রুত ওই শিক্ষার্থীর বহিস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।

সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি একেতো অপরাধ, তার উপর দুর্নীতির পক্ষে বক্তব্য দিয়ে কুবি উপাচার্য বেআইনি কাজ করেছেন। তারই চাকরিচ্যুত হওয়া উচিত ছিল। পক্ষান্তরে তিনি সাংবাদিককে বহিষ্কার করে অন্যায় করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। পরে তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে, উপাচার্যের বক্তব্যকে ‘বিকৃত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচারে’র অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ সময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন জবিসাসের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি ইমরান হোসাইন, দৈনিক আমাদের সময়ের সৈয়দ রিফাত ভোরের কাগজের রকি আহমেদ, সময় নিউজ অনলাইনের তৌফিক মেজবাহ, দৈনিক শিক্ষাডট কমের আসাদুল ইসলাম, দৈনিক যুগান্তরের সাকেরুল ইসলাম, দৈনিক কালবেলার রাম চন্দ্র রায়, একুশে টেলিভিশনের জুনায়েত শেখ, ভোরের ডাকের মোশফিকুর রহমান ইমন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য সংবাদকর্মীরা।
###

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সাংবাদিক ইকবালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে জবিসাসের মানববন্ধন

Update Time : ০৪:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

জবি প্রতিবেদক,

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সদস্যরা।

রবিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমিতির সদস্যরা।

মানববন্ধনে জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহমুদুল হাসান তানভীর বলেন, সংবাদ যদি মিথ্যা সংবাদ হয়ে থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সংশ্লিষ্ট মিডিয়া হাউজে প্রতিবাদ লিপি কিংবা আইনী প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজ প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে কোন কারণ দর্শানো বাদেই ওই শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতার অপব্যবহারসহ শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করেছেন উপাচার্য। অতিদ্রুত ওই শিক্ষার্থীর বহিস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।

সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি একেতো অপরাধ, তার উপর দুর্নীতির পক্ষে বক্তব্য দিয়ে কুবি উপাচার্য বেআইনি কাজ করেছেন। তারই চাকরিচ্যুত হওয়া উচিত ছিল। পক্ষান্তরে তিনি সাংবাদিককে বহিষ্কার করে অন্যায় করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। পরে তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে, উপাচার্যের বক্তব্যকে ‘বিকৃত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচারে’র অভিযোগে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

এ সময় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন জবিসাসের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি ইমরান হোসাইন, দৈনিক আমাদের সময়ের সৈয়দ রিফাত ভোরের কাগজের রকি আহমেদ, সময় নিউজ অনলাইনের তৌফিক মেজবাহ, দৈনিক শিক্ষাডট কমের আসাদুল ইসলাম, দৈনিক যুগান্তরের সাকেরুল ইসলাম, দৈনিক কালবেলার রাম চন্দ্র রায়, একুশে টেলিভিশনের জুনায়েত শেখ, ভোরের ডাকের মোশফিকুর রহমান ইমন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য সংবাদকর্মীরা।
###