ইবির সেই ৫ ছাত্রীর শাস্তি পুনঃনির্ধারণের নির্দেশ হাইকোর্টের
- Update Time : ০৭:১৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুলাই ২০২৩
- / 200
শাহিন রাজা, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত পাঁচ ছাত্রীর সাজা পুনরায় নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চআদালত। বুধবার (২৬ জুলাই) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্টের বিধি ১ এর ৪, ৫, ৭ ধারা এবং বিধি ২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়াসহ উপাচার্যকে আগামী ২৩শে আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী মহসীন।
রিটকারী আইনজীবী গাজী মহসিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যদেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে স্থায়ী বহিষ্কারের বিধান রয়েছে। তাই বিচারপতি কোড অব কন্ডাক্টের বিধি প্রথম ভাগের ৪, ৫, ৭ এবং দ্বিতীয় ভাগের ৮ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। যা আগামী ২৩শে আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী খাতুন বলেন, আমি আমার দাবিতে অনড় রয়েছি। আমার উপর যে বর্বরতা চালিয়েছে আমি চাই তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হোক।
এদিকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে আছি। আমি এখনও কিছু জানি না। যেহেতু জানা নেই, এজন্য মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
এর আগে গত ১৯ জুলাই শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনের নির্যাতনে জড়িত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কোন প্রক্রিয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে, তা জানতে চান হাইকোর্ট। রিটকারী আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।
ফুলপরীকে নির্যাতনে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে গত ১৫ জুলাই এক বছরের জন্য বহিষ্কার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।