রাজশাহী-সিলেট সিটিতে কাল ভোট, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

  • Update Time : ০৪:০০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / 102

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা। বুধবার ইভিএমে ভোট নিতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজশাহীতে ঝুঁকিপূর্ণ ১৪৮টি ভোটকেন্দ্রে জোরদার করেছে নিরাপত্তাও।

রাজশাহী সিটির কল্যাণে কাজ করতে আরেকবার সুযোগ চেয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রোববার দুপুরে প্রচারণার শেষ দিনে মিট দ্য প্রেস প্রোগ্রামে তিনি জানান, নির্বাচিত হলে বাড়াবেন কর্মসংস্থানের সুযোগও।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আমাকে আরেকবার সুযোগ দিবেন, যাতে আমি আপনাদের কল্যাণে, আপনাদের পরিবারের কল্যাণে, পুরো রাজশাহীবাসীর কল্যাণে কাজ করতে পারি।”
এ সিটি করপোরেশনের ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ১৪৮টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।

রাজশাহী রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “কয়েক প্লাটুন বিজিবি নিয়োগ হবে, র‌্যাব থাকবে এবং ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।”

সিলেটে শেষদিনের প্রচারণায় ব্যাঘাত ঘটায় বৃষ্টি। বিকালে গণসংযোগে নামেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে সরব ছিলেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।

জয়ে আশাবাদী নৌকার মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে কারো সমালোচনা করতে চাইনা। আমরা নির্বাচনের জন্য কাজ করছি, নির্বাচন অবশ্য সুষ্ঠু হবে।”

একই আশাবাদ জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলেরও।

নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, “লাঙ্গল ছাড়া মানুষ কিছুই বুঝতে পারছেনা।”

ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক, দাবি নির্বাচন কমিশনের।

সিলেট রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের বলেন, “১৯০টি কেন্দ্রের প্রতি সমান গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যাতে কোনো কেন্দ্রে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”

দুই সিটিতে আগামীকাল বুধবার ভোট হবে ইভিএমে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রাজশাহী-সিলেট সিটিতে কাল ভোট, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

Update Time : ০৪:০০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মধ্যরাতে শেষ হয়েছে রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা। বুধবার ইভিএমে ভোট নিতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজশাহীতে ঝুঁকিপূর্ণ ১৪৮টি ভোটকেন্দ্রে জোরদার করেছে নিরাপত্তাও।

রাজশাহী সিটির কল্যাণে কাজ করতে আরেকবার সুযোগ চেয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রোববার দুপুরে প্রচারণার শেষ দিনে মিট দ্য প্রেস প্রোগ্রামে তিনি জানান, নির্বাচিত হলে বাড়াবেন কর্মসংস্থানের সুযোগও।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে আমাকে আরেকবার সুযোগ দিবেন, যাতে আমি আপনাদের কল্যাণে, আপনাদের পরিবারের কল্যাণে, পুরো রাজশাহীবাসীর কল্যাণে কাজ করতে পারি।”
এ সিটি করপোরেশনের ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ১৪৮টিকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। নেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।

রাজশাহী রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “কয়েক প্লাটুন বিজিবি নিয়োগ হবে, র‌্যাব থাকবে এবং ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।”

সিলেটে শেষদিনের প্রচারণায় ব্যাঘাত ঘটায় বৃষ্টি। বিকালে গণসংযোগে নামেন প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে সরব ছিলেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।

জয়ে আশাবাদী নৌকার মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে কারো সমালোচনা করতে চাইনা। আমরা নির্বাচনের জন্য কাজ করছি, নির্বাচন অবশ্য সুষ্ঠু হবে।”

একই আশাবাদ জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলেরও।

নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, “লাঙ্গল ছাড়া মানুষ কিছুই বুঝতে পারছেনা।”

ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক, দাবি নির্বাচন কমিশনের।

সিলেট রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের বলেন, “১৯০টি কেন্দ্রের প্রতি সমান গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে, যাতে কোনো কেন্দ্রে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”

দুই সিটিতে আগামীকাল বুধবার ভোট হবে ইভিএমে।