এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কমেছে

  • Update Time : ০৯:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / 146

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বুধবার (৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবিএসের তথ্যমতে, গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ হার জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ ছিল। তার আগে গত আগস্টে মূল্যস্ফীতি ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে গিয়েছিল।

তবে এরপর থেকেই কমতির দিকে ছিল দেশের মূল্যস্ফীতি। যদিও ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।

সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে হয় ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। অক্টোবরেও মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নামে। নভেম্বরে আরও কমে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে।

২০২২ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এদিকে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশে। যা মার্চে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি এপ্রিলে মার্চের মতোই রয়েছে। এপ্রিলে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

এপ্রিলে শহরের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ আর গ্রামে ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ মূল্যস্ফীতির চাপে বেশি ভুগছেন। শহরে এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ১০ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি কমেছে

Update Time : ০৯:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। তবে মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বুধবার (৩ মে) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবিএসের তথ্যমতে, গত ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এ হার জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ ছিল। তার আগে গত আগস্টে মূল্যস্ফীতি ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে গিয়েছিল।

তবে এরপর থেকেই কমতির দিকে ছিল দেশের মূল্যস্ফীতি। যদিও ফেব্রুয়ারি ও মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।

সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে হয় ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। অক্টোবরেও মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নামে। নভেম্বরে আরও কমে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশে।

২০২২ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।

এদিকে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশে। যা মার্চে ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এছাড়া খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি এপ্রিলে মার্চের মতোই রয়েছে। এপ্রিলে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

এপ্রিলে শহরের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ আর গ্রামে ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। অর্থাৎ গ্রামের তুলনায় শহরের মানুষ মূল্যস্ফীতির চাপে বেশি ভুগছেন। শহরে এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ১০ শতাংশ ও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।