আশ্বাসের ৭২ ঘন্টা পার হলেও গ্রেফতার হয়নি অপরাধীরা

  • Update Time : ০৯:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
  • / 115

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের আরেকটি পক্ষ গত ৮ মার্চ ছাত্রদল নেতা ও বহিরাগতদের দিয়ে নিজেদেরই ৩ নেতাকে বেধড়ক মারধর করে। অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান রাতের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে আনার ৭২ ঘন্টা পার হলেও এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।

এ ঘটনার পর বাদী হয়ে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সাইদুল ইসলাম রোহান ৫ জনকে বিপ্লব চন্দ্র দাস, রনি মজুমদার, ইকবাল হোসেন খান, কাউছার হোসেন ও মোঃ ফয়সালকে বিবাদী করে এটেম টু মাড়ারের মামলা করেন।

এদিকে প্রশাসন তাদের আশ্বাস না রাখায় ভুক্তভোগীরা গত ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে নেতাকর্মীরা দাবি জানিয়ে বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতার, অছাত্র এবং বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত, এবং হামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণের দাবী জানান।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দুপুর ১ টায় স্থানীয় ছাত্রদল নেতা ও বহিরাগতদের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আল আমিন কনফেকশনারির সামনে শাখা ছাত্রলীগের ৩ নেতাকে বেধড়ক মারধর করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আরেকটি পক্ষ। মারধরকারীরা হলেন কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা রনি মজুমদার এবং কুবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া প্রধান আসামী ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব চন্দ্র দাসসহ অন্তত ১০-১২ জন ছাত্রদল-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।

গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘প্রশাসন এবিষয়ে তৎপর এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

আটকের বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ওদের সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনির বউ সুমিকে নিয়ে এসেছিলাম। ওদের লোকেশন জানা মাত্রই ওদের কে গ্রেপ্তার করবো। এত দিনেও কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না অন্য কোন কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন এটা হচ্ছে মানবিক সীমাবদ্ধতা ছাড়া অন্য কিছু না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আশ্বাসের ৭২ ঘন্টা পার হলেও গ্রেফতার হয়নি অপরাধীরা

Update Time : ০৯:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩

কুবি প্রতিনিধি:

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের আরেকটি পক্ষ গত ৮ মার্চ ছাত্রদল নেতা ও বহিরাগতদের দিয়ে নিজেদেরই ৩ নেতাকে বেধড়ক মারধর করে। অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান রাতের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে আনার ৭২ ঘন্টা পার হলেও এখনো পর্যন্ত অভিযুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন।

এ ঘটনার পর বাদী হয়ে ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ সাইদুল ইসলাম রোহান ৫ জনকে বিপ্লব চন্দ্র দাস, রনি মজুমদার, ইকবাল হোসেন খান, কাউছার হোসেন ও মোঃ ফয়সালকে বিবাদী করে এটেম টু মাড়ারের মামলা করেন।

এদিকে প্রশাসন তাদের আশ্বাস না রাখায় ভুক্তভোগীরা গত ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সম্মেলনে নেতাকর্মীরা দাবি জানিয়ে বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতার, অছাত্র এবং বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত, এবং হামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণের দাবী জানান।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দুপুর ১ টায় স্থানীয় ছাত্রদল নেতা ও বহিরাগতদের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আল আমিন কনফেকশনারির সামনে শাখা ছাত্রলীগের ৩ নেতাকে বেধড়ক মারধর করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আরেকটি পক্ষ। মারধরকারীরা হলেন কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা রনি মজুমদার এবং কুবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়া প্রধান আসামী ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব চন্দ্র দাসসহ অন্তত ১০-১২ জন ছাত্রদল-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।

গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘প্রশাসন এবিষয়ে তৎপর এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

আটকের বিষয়ে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ওদের সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনির বউ সুমিকে নিয়ে এসেছিলাম। ওদের লোকেশন জানা মাত্রই ওদের কে গ্রেপ্তার করবো। এত দিনেও কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না অন্য কোন কারণ আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন এটা হচ্ছে মানবিক সীমাবদ্ধতা ছাড়া অন্য কিছু না।