ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সম্ভাবনাময়ী চাঁদপুর সরকারি কলেজ

  • Update Time : ১০:১২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 435

মহিউদ্দিন মিয়াজী মাসুম:

““শিক্ষা, ঈমান ও সেবা ” এই ব্রত নিয়ে” এই ব্রত নিয়ে অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চাঁদপুর কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ১৯৪৬ সালের ১লা জুন।

১৫ই জুন একাদশ শ্রেণির আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়ে ২০২১ সালে ৭৫ বছর পূর্ণ করে শিক্ষার মশাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর সরকারি কলেজ।

অনেকে সরকারি কলেজ বা চাঁদপুর সরকারি কলেজ হিসেবেই সম্বোধন করে থাকেন। সংক্ষেপে বলা হয় “চাঁসক”।

জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম চাঁদপুর সরকারি কলেজ।

কলেজটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি অবকাঠামোগত নির্মাণে আধুনিক ও ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলির নান্দনিকতা, সুবিশাল মাঠ, সৌধ ও সমাধি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মাত্রাকে শোভনীয় ও বিকশিত করেছে বহুগুণ। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,বিপণীবাগের তাফসীরুল কুরআন মাহফিল উপলক্ষে জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্কলার- পীর মাশায়েখদের আগমন, ৪৭-এ ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভ, ৭১এর স্বাধীনতা সংগ্রাম, সৈরাচার সরকার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ রাজুর রাজপথে রক্ত ঝরানো সহ বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী ঐতিহাসিক চাঁদপুর সরকারি কলেজ।

প্রায় পনেরো হাজার শিক্ষার্থীর জ্ঞানচর্চার একাডেমির শিক্ষা সহায়ক শহীদজিয়া ও শেরে-ই বাংলা ছাত্রাবাস, শেখ হাসিনা ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী নিবাস ও একটি মাত্র কলেজ বাস রয়েছে। দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল ও পরিবহণের স্বল্পতা শিক্ষা সহায়তার জন্য যথেষ্ট নয়। হোস্টেলের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানোন্নয়ন ও প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি রুটে আলাদা কলেজ বাস সার্ভিস চালু করা শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি।

চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদটি আধুনিক সংস্করণ ও মনোরম পরিবেশ তৈরিতে অবদানকৃত সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। ছাত্রাবাস মসজিদগুলোর দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য স্বতন্ত্র উপাসনালয় নির্মাণের প্রস্তাব পেশ করছি, যা বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতার দর্শন বাস্তবায়ন করার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অগ্রগতির নিমিত্তে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হলেও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল,স্মার্ট বাংলাদেশ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আধুনিক যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে বিশ্বশিক্ষায় নিজেদেরকে সামিল করতে প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে স্বতন্ত্রভাবে ল্যাব থাকাটা একান্ত জরুরী।

কলেজে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষার পরিবেশ,প্রতিবেশ, মানোন্নয়ন,অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নবীণ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ও সার্বিক সহযোগিতার(সাংগঠনিক) কার্যক্রম প্রশংসনীয়। কেননা আমরা যখন কলেজে প্রথমদিন ভর্তি হতে আসি, অজানা অচেনা সময়টিতে বড় ভাইদের (সংগঠকদের) আন্তরিক ও সার্বিক সহযোগিতার চিত্র আজও ভেসে উঠে স্মৃতির পাতায়।

ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রসেনা ও ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং উপজেলা ভিত্তিক অরাজনৈতিক ছাত্র কল্যাণ সংঘ ও প্রতিটি বিভাগের সেশন ভিত্তিক অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোর কার্যক্রম ও কর্মতৎপরতা কলেজের সকল কর্মসূচীকে রাখে সতেজ ও প্রাণবন্ত। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন গুলোকে আরও সহমর্মিতার সহিত শিক্ষক- কর্মচারি, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকার, কল্যাণ ও উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করি। এই লক্ষ্যে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পেশ করছি। সহশিক্ষা হিসেবে বি.এন.সি.সি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ডিবেট ফোরাম (সি.সি.ডি.এফ) এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক, ¯স্নাতক (পাস),¯স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (নিয়মিত, প্রাইভেট) কোর্স এবং সহশিক্ষার পাশাপাশিনতুন কোর্স/ডিপার্টমেন্ট খুলে শিক্ষার পরিধি বৃদ্ধি করার চাহিদা সময়ের বাস্তব যৌক্তিকতা।

বাংলাদেশ সহ বিশ্বে চাঁদপুর জেলার একটি পরিচিতি রয়েছে। তার অন্যতম কারণ হল জাতীয় মাছ আমাদের চাঁদপুরের ইলিশ, যা বিশ্ব দরবারেও সমাদৃত। তাই কলেজকে চাঁদপুরের ও দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার দাবি আসতেই পারে। যদিও ২০২২ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় র‌্যাংকিংয়ে ৯ম স্থান অর্জন করেছে চাঁসক।

আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত চেষ্টা ও সাধনায়, জাতির মেরুদন্ড শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে আদর্শ জাতি গঠনের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময়ী চাঁদপুর কলেজকে জাতীয় মডেল বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। প্রাণের প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর কলেজের বর্তমান সুযোগ্য অধ্যক্ষ মহোদয়ের স্মার্ট ও দূরদর্শি নেতৃতে কলেজের অভাবনীয় পরিবর্তন ও উন্নয়ন হয়েছে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, উদ্যোক্তাবৃন্দ, এবং দাতা সদস্যবৃন্দ ( ফজলে রাব্বি খান, আজিজ আহমেদ, শ্রী নির্মল প্রসাদ সেন গুপ্ত, শ্রী দীনেশ চন্দ্র বসু, শ্রী বীরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী, শ্রীমতি প্রতিমা রাণী কর, শ্রীমতি স্বর্ণ কুমারী দত্ত) সহ অদ্যাবধি সকল অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী, সর্বমহলের শিক্ষানুরাগী ,সুধী ও গুণিজনদের অবদান অনস্বীকার্য।দীর্ঘ ৭৫ বছরের ইতিহাসে কলেজে পড়–য়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীগণ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, লেখক- বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, রাজনীতিবীদ, শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রতিষ্ঠিত, প্রথম অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ পরেশ চন্দ্র গাঙ্গুলী স্যারের হাতধরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাস স্যারের নেতৃেত্ব আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি: রোজ-শুক্র ও শনিবার ঐতিহ্যের উৎকর্ষে উল্লাসের ৭৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীতে আত্মার বন্ধনে এক ঐতিহাসিক মিলন মেলার কেন্দ্রস্থল চাঁদপুর সরকারি কলেজ। এই বন্ধন অটুট থাকবে চিরদিন এটাই সকলের প্রত্যাশা।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী চাঁদপুর সরকারি কলেজ।

Please Share This Post in Your Social Media


ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সম্ভাবনাময়ী চাঁদপুর সরকারি কলেজ

Update Time : ১০:১২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মহিউদ্দিন মিয়াজী মাসুম:

““শিক্ষা, ঈমান ও সেবা ” এই ব্রত নিয়ে” এই ব্রত নিয়ে অবিভক্ত বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চাঁদপুর কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ১৯৪৬ সালের ১লা জুন।

১৫ই জুন একাদশ শ্রেণির আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয়ে ২০২১ সালে ৭৫ বছর পূর্ণ করে শিক্ষার মশাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর সরকারি কলেজ।

অনেকে সরকারি কলেজ বা চাঁদপুর সরকারি কলেজ হিসেবেই সম্বোধন করে থাকেন। সংক্ষেপে বলা হয় “চাঁসক”।

জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম চাঁদপুর সরকারি কলেজ।

কলেজটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি অবকাঠামোগত নির্মাণে আধুনিক ও ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলির নান্দনিকতা, সুবিশাল মাঠ, সৌধ ও সমাধি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মাত্রাকে শোভনীয় ও বিকশিত করেছে বহুগুণ। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,বিপণীবাগের তাফসীরুল কুরআন মাহফিল উপলক্ষে জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্কলার- পীর মাশায়েখদের আগমন, ৪৭-এ ব্রিটিশ থেকে স্বাধীনতা লাভ, ৭১এর স্বাধীনতা সংগ্রাম, সৈরাচার সরকার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ রাজুর রাজপথে রক্ত ঝরানো সহ বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী ঐতিহাসিক চাঁদপুর সরকারি কলেজ।

প্রায় পনেরো হাজার শিক্ষার্থীর জ্ঞানচর্চার একাডেমির শিক্ষা সহায়ক শহীদজিয়া ও শেরে-ই বাংলা ছাত্রাবাস, শেখ হাসিনা ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী নিবাস ও একটি মাত্র কলেজ বাস রয়েছে। দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেল ও পরিবহণের স্বল্পতা শিক্ষা সহায়তার জন্য যথেষ্ট নয়। হোস্টেলের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানোন্নয়ন ও প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি রুটে আলাদা কলেজ বাস সার্ভিস চালু করা শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি।

চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রীয় মসজিদটি আধুনিক সংস্করণ ও মনোরম পরিবেশ তৈরিতে অবদানকৃত সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। ছাত্রাবাস মসজিদগুলোর দ্রুত সংস্কারের পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য স্বতন্ত্র উপাসনালয় নির্মাণের প্রস্তাব পেশ করছি, যা বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতার দর্শন বাস্তবায়ন করার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অগ্রগতির নিমিত্তে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠিত হলেও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল,স্মার্ট বাংলাদেশ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে আধুনিক যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে বিশ্বশিক্ষায় নিজেদেরকে সামিল করতে প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে স্বতন্ত্রভাবে ল্যাব থাকাটা একান্ত জরুরী।

কলেজে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষার পরিবেশ,প্রতিবেশ, মানোন্নয়ন,অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নবীণ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক ও সার্বিক সহযোগিতার(সাংগঠনিক) কার্যক্রম প্রশংসনীয়। কেননা আমরা যখন কলেজে প্রথমদিন ভর্তি হতে আসি, অজানা অচেনা সময়টিতে বড় ভাইদের (সংগঠকদের) আন্তরিক ও সার্বিক সহযোগিতার চিত্র আজও ভেসে উঠে স্মৃতির পাতায়।

ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রসেনা ও ছাত্র অধিকার পরিষদ এবং উপজেলা ভিত্তিক অরাজনৈতিক ছাত্র কল্যাণ সংঘ ও প্রতিটি বিভাগের সেশন ভিত্তিক অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোর কার্যক্রম ও কর্মতৎপরতা কলেজের সকল কর্মসূচীকে রাখে সতেজ ও প্রাণবন্ত। রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন গুলোকে আরও সহমর্মিতার সহিত শিক্ষক- কর্মচারি, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকার, কল্যাণ ও উন্নয়নে একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করবে এমনটাই প্রত্যাশা করি। এই লক্ষ্যে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পেশ করছি। সহশিক্ষা হিসেবে বি.এন.সি.সি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ডিবেট ফোরাম (সি.সি.ডি.এফ) এর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক, ¯স্নাতক (পাস),¯স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর (নিয়মিত, প্রাইভেট) কোর্স এবং সহশিক্ষার পাশাপাশিনতুন কোর্স/ডিপার্টমেন্ট খুলে শিক্ষার পরিধি বৃদ্ধি করার চাহিদা সময়ের বাস্তব যৌক্তিকতা।

বাংলাদেশ সহ বিশ্বে চাঁদপুর জেলার একটি পরিচিতি রয়েছে। তার অন্যতম কারণ হল জাতীয় মাছ আমাদের চাঁদপুরের ইলিশ, যা বিশ্ব দরবারেও সমাদৃত। তাই কলেজকে চাঁদপুরের ও দেশের সেরা প্রতিষ্ঠানের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার দাবি আসতেই পারে। যদিও ২০২২ শিক্ষাবর্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় র‌্যাংকিংয়ে ৯ম স্থান অর্জন করেছে চাঁসক।

আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত চেষ্টা ও সাধনায়, জাতির মেরুদন্ড শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে আদর্শ জাতি গঠনের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময়ী চাঁদপুর কলেজকে জাতীয় মডেল বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। প্রাণের প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর কলেজের বর্তমান সুযোগ্য অধ্যক্ষ মহোদয়ের স্মার্ট ও দূরদর্শি নেতৃতে কলেজের অভাবনীয় পরিবর্তন ও উন্নয়ন হয়েছে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, উদ্যোক্তাবৃন্দ, এবং দাতা সদস্যবৃন্দ ( ফজলে রাব্বি খান, আজিজ আহমেদ, শ্রী নির্মল প্রসাদ সেন গুপ্ত, শ্রী দীনেশ চন্দ্র বসু, শ্রী বীরেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী, শ্রীমতি প্রতিমা রাণী কর, শ্রীমতি স্বর্ণ কুমারী দত্ত) সহ অদ্যাবধি সকল অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী, সর্বমহলের শিক্ষানুরাগী ,সুধী ও গুণিজনদের অবদান অনস্বীকার্য।দীর্ঘ ৭৫ বছরের ইতিহাসে কলেজে পড়–য়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীগণ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, লেখক- বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক, রাজনীতিবীদ, শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর প্রতিষ্ঠিত, প্রথম অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ পরেশ চন্দ্র গাঙ্গুলী স্যারের হাতধরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাস স্যারের নেতৃেত্ব আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি: রোজ-শুক্র ও শনিবার ঐতিহ্যের উৎকর্ষে উল্লাসের ৭৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীতে আত্মার বন্ধনে এক ঐতিহাসিক মিলন মেলার কেন্দ্রস্থল চাঁদপুর সরকারি কলেজ। এই বন্ধন অটুট থাকবে চিরদিন এটাই সকলের প্রত্যাশা।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী চাঁদপুর সরকারি কলেজ।