যবিপ্রবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত
- Update Time : ০১:২৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 170
যবিপ্রবি প্রতিনিধি:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি)২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর বাদশা এর সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: হাফিজ উদ্দিন। আলোচনা অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে নব্য যোগদান করা শিক্ষক, নবীন শিক্ষার্থী ও নবগঠিত ক্লাবের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবীনদের স্বাগত জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিষয় একটি রত্নভান্ডার , যেটাকে বাদ দিয়ে বিজ্ঞান চর্চা অসম্ভব।তোমাদের মনে রাখতে হবে, যেখানে মৌলিকত্ব থাকে তার গভীরে কিন্তু ঢোকা এত সহজ নয়।কাজেই এর গভীরে প্রবেশ করতে হলে তোমাদেরও মৌলিক মানুষ হতে হবে। বিজ্ঞানের মূলের সন্ধান করে ফিজিক্স।আমার বিশ্বাস মূলের সন্ধানে তোমরা এসেছো এবং সেই সন্ধানের জন্য তোমাদের জীবনের বাকি সময়গুলো ব্যয় করবে।যাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বকে তোমরা এগিয়ে নিতে পারো। আমি বিশ্বাস করি যবিপ্রবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ এই মহান দায়িত্বটি পালন করবে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে জীবনে এমন শিক্ষক দেখেছি যারা হিমালয়ের মতো।তারা যেটাকে সত্য মনে করতো সেটাই বলতো।কাজেই শিক্ষককে হতে হবে সত্যের পূজারী এবং শিক্ষক যখন সত্যের পূজারী হবে, সেই শিক্ষককে তাঁর ছাত্ররা অনুকরণ করবে।আর ছাত্র যখন একজন আলোকিত মানুষ হবে, তখন সেই দেশটা আলোকিত হবে।
তিনি আরো বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং মুক্ত। কেউ র্যাগিং করলে শুধু একবার বলে দেখো মুখ খুলে, সে যত বড় শক্তিধর হোক না কেন,রাজনীতিবিদ হোক না কেন এক মিনিটও সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারবে না। তবে কেউ যদি আদর্শ থেকে মিছিলে যেতে চাও তাহলে আমি কাউকে বাধা দিবো না।যদি ভালো রাজনীতিবিদ হতে চাও, তবে তা অবশ্যই দেশের জন্য কল্যাণকর। এই বিশ্ববিদ্যালয় খুব দ্রুতই পূর্ণ আবাসিক হয়ে যাবে, সবাই সিট পাবে।হলের সিটের জন্যেও কোনো ভাইয়ের কাছে শরণাপন্ন হওয়া লাগবে না।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো: মাসুম বিল্লাহ,ড. মোঃ হুমায়ূন কবির,ড. মোহাম্মদ আবদুর রশিদ,প্রভাষক মোঃ বোরহানুল আসফিয়া, দেবাশীষ রায়,শাহাদাত জামান,আব্দুল্লাহ আল রোমান,মো: তানভীর আহমেদ ও বিভাগের সকল কর্মকর্তাসহ সকল বর্ষের শিক্ষার্থীরা।