দেশে ‘নিপাহ ভাইরাস’ মিলেছে ২৮ জেলায়
- Update Time : ০১:৩০:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 173
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ কারণে মহাখালীর কোভিড হাসপাতালের শয্যা প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অধিদপ্তর।
সম্প্রতি সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চলতি মৌসুমে আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার শতকরা ৭০ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, কাঁচা রস, পাখি খাওয়া ফল খেলে এই রোগ হয়। বাদুড় এই ভাইরাস বহন করে। বাদুড় খেজুরের রস পান করলে সেটি মানুষ পান করলেও হয়। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে দ্রুত ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।
তিনি বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা টিভিসি তৈরি করেছি। সংক্রমণ ব্যধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি।
আইইডিসিআরের তথ্যমতে, দেশে ২০০১ সালে মেহেরপুরে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ২০০৩ সালে হয় নওগাঁয়। তবে এর সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হয় ২০০৪ সালে ফরিদপুর জেলায়। সেখানে ৩৫ জন আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২৭ জন।
এদিকে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সিয়াম নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার পর সে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. রোজী আরা খাতুন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘গত রোববার (২৯ জানুয়ারি) কাঁচা খেজুরের রস খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ে করমদোশী গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলামের ছেলে সিয়াম। সে স্থানীয় দোবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তাকে প্রথমে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন (৩০ জানুয়ারি) তার মৃত্যু হয়।’
ডা. রোজী আরা খাতুন আরও বলেন, ‘সিয়ামের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে তার নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।’