ঢাবিতে ‘মুক্তির মন্ত্রে বঙ্গবন্ধু: সংবিধান এবং আইনের শাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভা

  • Update Time : ১২:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 246

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‘মুক্তির মন্ত্রে বঙ্গবন্ধু: সংবিধান এবং আইনের শাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কাজী মোতাহার হোসেন ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন ধ্বংস করার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে সম্মিলিত যে চেষ্টা হয়েছিল, তার বিপরীতে প্রত্যয়দীপ্ত সাহসী ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ সংবিধানের বিধি-বিধানের আলোকে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম, খুনিদের পুনর্বাসন, গণতন্ত্র ধ্বংস করা, আইনের শাসন ধ্বংস করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিতর্কিত করা এসব কাজ বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং পরবর্তীকালে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে করেছে।

দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংবিধান ও আইনের শাসন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আইনের শাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে, আইন অনুযায়ী সবকিছু হবে। সেই আইন, যে আইন সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। আইনের শাসনের কথা বলতে গেলে সাংবিধানিক বিধি-বিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন, একটি বিশ্বাস, একটি প্রেরণা। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষরা যখনই পথ হারিয়ে নতুন কোনো দিগন্তের কথা ভাববে, তখন বঙ্গবন্ধু নামক বিশ্বাস ও দর্শনের কাছে ফিরে আসতে হবে। যখনই কোনো জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে মুক্তি চাইবে অথবা স্বাধিকার আদায়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হবে, তখনই স্মরণ করতে হবে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য। বঙ্গবন্ধু সে কারণেই আজ ও আগামীতে অনিবার্য।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখার সভাপতি আফরেদী হাসান সেজার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে টেকসই রাষ্ট্রে রূপান্তরে যা যা প্রয়োজন ছিল তার সব কিছুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান করে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীন রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ও জলসীমায় সব সম্পদের ওপর দেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বিদেশি শোষণ চিরতরে বন্ধ করার জন্য সাংবিধানিক বিধান প্রণয়ন করেছেন। পৃথিবীর খুব কম রাষ্ট্রই সমকালীন সময়ে এ ধরনের সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।‌‌ তিনি বাঙালির অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক মুক্তির ভিত্তিমূল তৈরি করে দেখেছেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রচিত ভিত্তি মূলের ওপর দাঁড়িয়ে বাঙালির মুক্তির পথ নকশা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ টিপু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি আফরেদী হাসান সেজা, সাধারণ সম্পাদক সুজয় বসু প্রমুখ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে ‘মুক্তির মন্ত্রে বঙ্গবন্ধু: সংবিধান এবং আইনের শাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভা

Update Time : ১২:১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে ‘মুক্তির মন্ত্রে বঙ্গবন্ধু: সংবিধান এবং আইনের শাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কাজী মোতাহার হোসেন ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন ধ্বংস করার জন্য দেশে ও দেশের বাইরে সম্মিলিত যে চেষ্টা হয়েছিল, তার বিপরীতে প্রত্যয়দীপ্ত সাহসী ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আজ সংবিধানের বিধি-বিধানের আলোকে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে খুনের রাজত্ব কায়েম, খুনিদের পুনর্বাসন, গণতন্ত্র ধ্বংস করা, আইনের শাসন ধ্বংস করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিতর্কিত করা এসব কাজ বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এবং পরবর্তীকালে খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ধারাবাহিকভাবে করেছে।

দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সংবিধান ও আইনের শাসন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আইনের শাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে, আইন অনুযায়ী সবকিছু হবে। সেই আইন, যে আইন সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। আইনের শাসনের কথা বলতে গেলে সাংবিধানিক বিধি-বিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি দর্শন, একটি বিশ্বাস, একটি প্রেরণা। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলে নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষিত মানুষরা যখনই পথ হারিয়ে নতুন কোনো দিগন্তের কথা ভাববে, তখন বঙ্গবন্ধু নামক বিশ্বাস ও দর্শনের কাছে ফিরে আসতে হবে। যখনই কোনো জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে, অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে মুক্তি চাইবে অথবা স্বাধিকার আদায়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হবে, তখনই স্মরণ করতে হবে বঙ্গবন্ধুর জীবনালেখ্য। বঙ্গবন্ধু সে কারণেই আজ ও আগামীতে অনিবার্য।

আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ শাখার সভাপতি আফরেদী হাসান সেজার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে টেকসই রাষ্ট্রে রূপান্তরে যা যা প্রয়োজন ছিল তার সব কিছুই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান করে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীন রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ও জলসীমায় সব সম্পদের ওপর দেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছেন।

তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে বিদেশি শোষণ চিরতরে বন্ধ করার জন্য সাংবিধানিক বিধান প্রণয়ন করেছেন। পৃথিবীর খুব কম রাষ্ট্রই সমকালীন সময়ে এ ধরনের সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল।‌‌ তিনি বাঙালির অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক মুক্তির ভিত্তিমূল তৈরি করে দেখেছেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রচিত ভিত্তি মূলের ওপর দাঁড়িয়ে বাঙালির মুক্তির পথ নকশা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি শাহনেওয়াজ টিপু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ ছাত্রলীগের সভাপতি আফরেদী হাসান সেজা, সাধারণ সম্পাদক সুজয় বসু প্রমুখ।