অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানকে ‘হয়রানির’ প্রতিবাদে ১০ ছাত্রসংগঠনের বিবৃতি ; তদন্ত ও বিচার দাবি
- Update Time : ০৯:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
- / 379
ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানকে ‘হয়রানির’ প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ১০টি ছাত্রসংগঠন।
বিবৃতিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করেছে সংগঠনগুলো ।গতকাল গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।
‘প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনসমূহ’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ ৯টি বামপন্থী ছাত্রসংগঠন একটি বিবৃতি পাঠায়। এই সংগঠনগুলো হলো—ছাত্র ইউনিয়ন (নজির-রাগীব), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি আন্দোলন), ছাত্র ফেডারেশন (জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন।
অপর একটি বিবৃতি পাঠিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।ছাত্র অধিকার পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, একজন শিক্ষকের সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা মনে করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকারের বাহিনী হিসেবে কাজ করছে। শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দেশের মানুষের গণতন্ত্র-অধিকার রক্ষায় দলমত–নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য তারা শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের বিভাগীয় কক্ষে গিয়ে ফাইল তল্লাশি করে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে।
প্রক্টর ড. এ কে এ ম গোলাম রব্বানীর নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপক। এ অভিযোগে বুধবার দুপুরে প্রক্টরের বিরুদ্ধে ‘নিন্দা’ জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন তিনি।
নিজের যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আছে উল্লেখ করে অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, কোনো তথ্য দরকার হলে রেজিস্ট্রার ভবনই যথেষ্ট। তারপরও কেন আমার ব্যক্তিগত তথ্যের জন্য বিভাগে লোক পাঠানো হলো? একই দিন সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে একজন আমার স্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে বলেন, তিনি আমার ব্যাপারে ভেরিফিকেশনের জন্য গিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। তিনি বলেছেন, তিনি পরিকল্পিত শব্দ সন্ত্রাস করছেন। এটিকে ইস্যু করে সস্তা জনপ্রিয়তা ও সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এক অফিস থেকে অন্য অফিসে তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে আমি আমার কর্মকর্তাকে বিভাগে যেতে বলিনি এবং বিষয়টি শোনার পর তাকে চলে আসতে বলেছি।
এদিকে প্রক্টরের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ২২ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রকাশনা ও গবেষণা মেলা থেকে নিজের সকল প্রকাশনা ও গবেষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান।
অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের অন্যতম সংগঠক।