রিপোর্ট দেখে টনক নড়লো ঢাবি কর্তৃপক্ষের : ‘অতি জরুরি’ বিজ্ঞপ্তিতে সতর্কবার্তা প্রদান
- Update Time : ১১:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
- / 276
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে (রেজিস্ট্রার বিল্ডিং) কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সময় মতো অফিসে উপস্থিত না থাকা এবং দায়িত্বে গাফিলতির বিষয়ে সংবাদমাধ্যম গুলোতে রিপোর্ট প্রকাশের পর টনক নড়লো ঢাবি কর্তৃপক্ষের। তার পরপরই যারা অফিস সময়সূচি মানার ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটাবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ঘোষণা করে একটি ‘অতি জরুরি’ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, বিভাগসমূহের চেয়ারম্যান, প্রক্টর সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-৩) সৈয়দা মাসুদা আক্তার স্বাক্ষরিত একটি ‘অতি জরুরি’ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সময়সূচি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯:০০টা থেকে বিকাল ৪:০০টা পর্যন্ত (নামাজ ও দুপুরের খাবারের বিরতি অপরাহ্ন ১:০০টা থেকে অপরাহ্ন ১:৩০ মিনিট পর্যন্ত)। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের ইতোপূর্বে জানানো হয়েছে কিন্তু সম্প্রতি কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যথাসময়ে অফিসে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।
এমতাবস্থায়, সকল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের যথাসময়ে অফিসে আগমন ও প্রস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং যারা নিয়মের ব্যত্যয় করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদিষ্ট হয়ে আপনাকে অনুরোধ করছি।
শেষে বিষয়টিকে “খুবই জরুরি” বলে মোটা কালিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির একটি টিম সরেজমিনে প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরুর নির্ধারিত সময়ের পরও ২৫৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অনুপস্থিত পায়।
পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সচিত্র নিউজ প্রকাশিত হলে বিষয়টিকে কর্তৃপক্ষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে বাধ্য হয়। বিকালের দিকে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপরিল্লিখিত বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
এদিকে ঢাবি সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা রেজিস্ট্রার ভবনের অনিয়ম দেখে দেখে অতিষ্ট। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ঢাবি সাংবাদিক সমিতিকে বারবার এরূপ ভূমিকায় দেখতে পাবে- এই তাদের প্রত্যাশা৷