ক্যান্টিন স্থাপনসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ঢাবির আইন অনুষদ ছাত্রলীগ
- Update Time : ০৮:৫৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / 362
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ
দায়িত্ব গ্রহণের দুইদিনের মাথায় কাজী মোতাহার হোসেন ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন, পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সংস্কার করে আধুনিক মানে উন্নীত করতে আইন অনুষদের ডিন বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে আইন অনুষদ ছাত্রলীগ৷ স্মারকলিপি প্রদান শেষে মানববন্ধনও করেছেন তারা।
আইন অনুষদ ছাত্রলীগের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ এর রূপকার জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়নে বরাবরই বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত আইন অনুষদ বরাবরই শিক্ষা, গবেষণা ও নেতৃত্বে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে।
অগ্রযাত্রার এ পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে কাজী মোতাহার হোসেন ভবনে ক্যান্টিন শূন্যতা এবং আইন অনুষদে স্যানিটেশন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি, কাজী মোতাহার হোসেন ভবনে ক্যান্টিন স্থাপন এবং আইন অনুষদে মানসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার প্রতি বরাবরই সমর্থন জানায় আইন অনুষদ ছাত্রলীগ।
স্মারকলিপি প্রদানের পর কাজী মোতাহার হোসেন ভবন চত্ত্বর প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত মিছিল করেন তারা। এসময় তারা “যদি চাও উন্নয়ন, করো মৌলিক চাহিদা পূরণ”, “বাঁচতে হলে খেতে হবে, খেতে হলে ক্যান্টিন লাগবে”, “দাবি মোদের একটাই, মোতাহারে ক্যান্টিন চাই” ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মিছিল শেষে ভবনের সামনের রাস্তায় শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করেন তারা। এসময় তারা বক্তব্য প্রদান করে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
আইন অনুষদ ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি আফরেদী হাসান সেজা বলেন, আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা যেসকল ন্যায্য দাবি করেছে, আমরা তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আমরা ইতোমধ্যেই স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে মাননীয় ডিন স্যারের নিকট আমাদের দাবিগুলো উত্থাপন করেছি৷
শিক্ষার্থীদের যে কোন ন্যায্য দাবি আদায়ে আইন অনুষদ ছাত্রলীগ সর্বদা পাশে থাকবে বলে জানান নবনির্বাচিত এই সভাপতি।
সাধারণ সম্পাদক সুজয় বসু বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন ভবনে কোনো ক্যান্টিন না থাকায় শিক্ষার্থীদেরকে বাইরে থেকে উচ্চ মূল্যে খাবার কিনে খেতে হয়। কখনও কখনও দুপুরের খাবার না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা দুটি-একটি পরোটা আর চা খেয়েই সারাদিন ক্লাস করতে বাধ্য হন। এভাবে ক্ষুধা নিয়ে ক্লাসে মনোযোগ দেওয়া একেবারেই সম্ভব হয় না।
ভবনে একটি ক্যান্টিন স্থাপন করা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন তিনি।