”বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না’: রাসিক মেয়র লিটন

  • Update Time : ০৫:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 199

রনি আহমেদ, রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহীর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘মায়ানমার আমাদের একের পর এক উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ মাথা ঠান্ডা করে আছে, বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না’।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ”শেখ হাসিনার বৈশ্বিক ভাবমূর্তী : প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। আজ রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর,২০২২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিটন বলেন,’বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের যতগুলো সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার মধ্যে কঠিনতম সমস্যা হচ্ছে মায়ানমাররে রাখাইন প্রদেশ থেকে আগত রোহিঙ্গাদের সমস্যা। মায়নমার আমাদের একটির পর একটি উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ মাথা ঠান্ডা করে আছ, বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না। আর আমার একটা প্রশ্ন এর পিছনে কি শুধু হাত আছে নাকি অন্য কারোর হাতও আছে?শেখ হাসিনাকে যারা হঠাৎে চাই তাদের হাত আছে কিনা তা বোঝার বয়স আমাদের হয়ছে। মায়ানমার থেকে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা এসেছে। বর্তমানে যার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন’।

উক্ত সেমনিারের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.গোলাম সাব্বির সাত্তার। এসময় সভাপতির বাক্তব্যে তিনি বলেন,’যেদেশ সামরিক জান্তা দ্বারা পরিচালিত, যে দেশে ইয়াবা উৎপাদিত হয়, সে দেশ থেকে আমরা কি আশা করতে পারি। আজকে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তির কথা আসছে সেটা আগেই প্রমানিত হয়েছে বিশ্ব নেতাদের সামনে। আর এটা হওয়া স্বাভাবিক কারন তিনি তার যোগ্য পিতার অনুসারী। তার ধরণিতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত বইছে’৷

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বাঙালি স্বভবতাই পরপকার, তারা নিজে না খেয়ে অন্য কে খাওয়াই। সেই জায়গা থেকেই তিনি রহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছিলেন’৷

এসময় বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম-এর সভাপতি মিজান বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢকার বাহিরে এটা আমাদের প্রথম সভা। আজকে আমরা যে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছি,তা একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্যই আজকের এই সেমিনার। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এতোটা সহজ বিষয় না। এরমধ্যে অনেক বিষয় নিহিত, এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এসমস্যা সমাধানের জন্য আন্তজার্তিক সম্প্রদায়,জাতীয় সম্প্রদায় কে এগিয়ে আসতে হবে’।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম প্রমুখ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


”বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না’: রাসিক মেয়র লিটন

Update Time : ০৫:৪৩:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

রনি আহমেদ, রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহীর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘মায়ানমার আমাদের একের পর এক উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ মাথা ঠান্ডা করে আছে, বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না’।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ”শেখ হাসিনার বৈশ্বিক ভাবমূর্তী : প্রসঙ্গ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। আজ রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর,২০২২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লিটন বলেন,’বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের যতগুলো সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার মধ্যে কঠিনতম সমস্যা হচ্ছে মায়ানমাররে রাখাইন প্রদেশ থেকে আগত রোহিঙ্গাদের সমস্যা। মায়নমার আমাদের একটির পর একটি উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ মাথা ঠান্ডা করে আছ, বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না। আর আমার একটা প্রশ্ন এর পিছনে কি শুধু হাত আছে নাকি অন্য কারোর হাতও আছে?শেখ হাসিনাকে যারা হঠাৎে চাই তাদের হাত আছে কিনা তা বোঝার বয়স আমাদের হয়ছে। মায়ানমার থেকে ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা এসেছে। বর্তমানে যার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন’।

উক্ত সেমনিারের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.গোলাম সাব্বির সাত্তার। এসময় সভাপতির বাক্তব্যে তিনি বলেন,’যেদেশ সামরিক জান্তা দ্বারা পরিচালিত, যে দেশে ইয়াবা উৎপাদিত হয়, সে দেশ থেকে আমরা কি আশা করতে পারি। আজকে যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তির কথা আসছে সেটা আগেই প্রমানিত হয়েছে বিশ্ব নেতাদের সামনে। আর এটা হওয়া স্বাভাবিক কারন তিনি তার যোগ্য পিতার অনুসারী। তার ধরণিতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত বইছে’৷

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৮ সালে ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বাঙালি স্বভবতাই পরপকার, তারা নিজে না খেয়ে অন্য কে খাওয়াই। সেই জায়গা থেকেই তিনি রহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার পরিচয় দিয়েছিলেন’৷

এসময় বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম-এর সভাপতি মিজান বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢকার বাহিরে এটা আমাদের প্রথম সভা। আজকে আমরা যে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছি,তা একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা আমাদের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্যই আজকের এই সেমিনার। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এতোটা সহজ বিষয় না। এরমধ্যে অনেক বিষয় নিহিত, এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এসমস্যা সমাধানের জন্য আন্তজার্তিক সম্প্রদায়,জাতীয় সম্প্রদায় কে এগিয়ে আসতে হবে’।

বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহ্ আজম, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম প্রমুখ।