আইন অঙ্গনে জামায়াত-শিবির রুখবে আইন জেলা ছাত্রলীগ: জয়
- Update Time : ১১:২৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
- / 268
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের আইন অঙ্গনে জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে উল্লেখ করে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ঢাকা আইন জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আইন অঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শনিবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আইন জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা আইন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ ইকবাল রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম সাচ্ছু আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষেদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন: আমাদের যাতে দুর্নাম না হয়, সেদিন সজাগ থাকতে হবে। সৎ, নির্ভীক, দেশপ্রম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনায় নিজের গড়ে তুলতে হবে। স্বাধীনতার মূল চেতনা ধারণ করে আইন জেলা ছাত্রলীগকে এগিয়ে যেতে হবে।
এসয়ম আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র বাধা বিঘ্নতা মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী জননেত্রী শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই বাংলাদেশ নিয়ে এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ষড়যন্ত্রের সময় ক্ষমতাসীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আপনারা কি যৌবনের টগবগিয়ে উঠা রক্তের স্পন্দন ভুলে যাচ্ছেন? যদি ভুলে না যান তাহলে বাংলার মাটিতে এখনও কেনো বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ষড়যন্ত্র করে বেড়ায়। ২১ আগস্টের খুনিরা কিভাবে নতুন করে জাগ্রত হওয়ার চেষ্টা করে। আমরা কি আবারও ১৫ আগস্টের পুনরূপ দেখতে চাই? আমরা টগবগিয়ে উঠা রক্তের ছাত্রলীগ চাই।
ছাত্রলীগ আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আইন জেলা ছাত্রলীগ নিজের কর্মকৌশল দিয়ে দেশের আইন অঙ্গনকে আরও এগিয়ে নিবে এবং আইন অঙ্গনে জামায়াত-শিবিরের প্রেতাত্মা রুখে দিবে। এটাই আজকে আমাদের প্রত্যাশা।
বঙ্গবন্ধুর খুনীদের জিয়াউর রহমান পুরস্কৃত করেছিল জানিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আরও বলেন, ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনীদের পুরুস্কৃত করেছিলেন খুনী জিয়াউর রহমান। এই খুনী জিয়াউ অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল। এই খুনী জিয়া কখনই বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে। এই খুনী জিয়ার পথেই হেঁটেছেন খালেদা ও তারেক জিয়া। তারা বারবার আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কখনোই শ্রীলঙ্কা হবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।