ঢাবি শিক্ষক সামিয়া রহমানকে স্বপদে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট
- Update Time : ০৭:৫৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ অগাস্ট ২০২২
- / 200
জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধিঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে তাকে সার্বিক সুযোগ-সুবিধাসহ সহযোগী অধ্যাপক পদে পুনর্বহাল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।গবেষণাপত্রে চুরির অভিযোগে তাকে এ পদাবনতি দেওয়া হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। সামিয়া রহমানের আইনজীবী হাসান এমএস আজিম সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সহকারী অধ্যাপক থেকে পদাবনতি দেওয়ার বিষয়ে ঢাবি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সামিয়া রহমানের দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। সামিয়া রহমান গত বছরের ২৮ জানুয়ারি ঢাবি সিন্ডিকেটের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রিটের শুনানি নিয়ে সামিয়াকে সহকারী অধ্যাপক থেকে পদাবনতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।গবেষণাপত্র চুরির যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে তা তদন্ত প্রতিবেদনসহ আদালতে জমা দিতে ঢাবি রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সামিয়ার আইনজীবী হাসান এমএস আজিম বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ গবেষণাপত্রটি সামিয়া রহমান তৈরি করেননি এবং সেখানে তার সই ছিল না। সামিয়া রহমান বিষয়টি ঢাবি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছিলেন, কিন্তু তাকে কোনো তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। যা বেআইনি ও সংবিধানের পরিপন্থি।
সামিয়া রহমানসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে ২৮ জানুয়ারি ঢাবি সিন্ডিকেট সভায় গবেষণাপত্রে চুরির অভিযোগে পদাবনতি দেওয়া হয়। অপর দুই শিক্ষক হলেন- ক্রিমিনোলজি বিভাগের সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মুহাম্মদ ওমর ফারুক।
মুহাম্মদ ওমর ফারুককে সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রভাষক পদে পদাবনতি এবং তার পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল করা হয়েছে। আর মারজান একজন প্রভাষক। তিনি বর্তমানে শিক্ষাকালীন ছুটিতে রয়েছেন। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মারজান ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় যোগদানের পর আরও দুই বছর তাকে প্রভাষক পদে দায়িত্ব পালন করতে হবে।