ঢাবিতে তাজউদ্দীন আহমদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

  • Update Time : ১০:৪৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • / 165

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি: 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড’ আয়োজিত তাজউদ্দীন আহমদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রমুখ।

‘সীমানা পেরোনো নীরব মানুষ’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন কথাসাহিত্যিক সুহান রিজওয়ান। স্বাগত বক্তব্য দেন তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা শারমিন আহমদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের কনিষ্ঠ কন্যা মাহজাবীন আহমদ মিমি, মুক্তিযোদ্ধা শাহ এস কামালসহ তাজউদ্দীন পরিবারের সদস্যরা।

উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ একাধারে রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা ও সহচর, প্রধানমন্ত্রী, মুজিবনগর সরকারের প্রধান, জাতীয় চার নেতার অন্যতম। তাঁকে নানাভাবে চর্চার জায়গা রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

 

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র তাজউদ্দীন আহমদ তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা ও আদর্শিক চিন্তাধারা দিয়ে নিজেকে সমাজের এক অনন্য মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, তাজউদ্দীন আহমদের চিন্তা সবসময় গণমানুষের কল্যাণ ঘিরে আবর্তিত ছিল। ছয় দফা ও সংবিধান প্রণয়নে তাঁর অন্যতম ভূমিকা ছিল। মানুষের মুক্তির জন্য তিনি সমাজতান্ত্রিক জাতীয়করণের প্রতি অগ্রসর হন। গরিব-মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মিলিয়ে চিন্তা করেন।

 

অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের বিএসএস সম্মান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ছাত্রী ত্রপা সরকারকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ শান্তি স্বর্ণপদক’ এবং সানজিদা জামান রাইসাকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি’ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রচনা প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড পুরস্কার’ দেওয়া হয়। বিজয়ীরা হলেন- উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সুমাইয়া খানম, প্রাণিবিদ্যার রিফাত ফেরদৌস অনন্যা, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের আরজু আফরিন ক্যাথি এবং বাংলা বিভাগের সুহৃদ সাদিক ও ইফরাত জাহান।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে ১৯৭১ সালে দুঃখ-কষ্টের মধ্যে তিনি গোলাবারুদ, মানুষের আশ্রয়ের জায়গা, তাঁবু জোগাড় করেছেন। আজকের প্রজন্মের এগুলো জানা দরকার। তিনি যেসব কাজ করেছেন, তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এসব কথা বহন করে নিয়ে যেতে পারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঢাবিতে তাজউদ্দীন আহমদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

Update Time : ১০:৪৩:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি: 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড’ আয়োজিত তাজউদ্দীন আহমদ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে এবং রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সিমিন হোসেন রিমি, ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রমুখ।

‘সীমানা পেরোনো নীরব মানুষ’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন কথাসাহিত্যিক সুহান রিজওয়ান। স্বাগত বক্তব্য দেন তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা শারমিন আহমদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদের কনিষ্ঠ কন্যা মাহজাবীন আহমদ মিমি, মুক্তিযোদ্ধা শাহ এস কামালসহ তাজউদ্দীন পরিবারের সদস্যরা।

উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, তাজউদ্দীন আহমদ একাধারে রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা ও সহচর, প্রধানমন্ত্রী, মুজিবনগর সরকারের প্রধান, জাতীয় চার নেতার অন্যতম। তাঁকে নানাভাবে চর্চার জায়গা রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

 

সিমিন হোসেন রিমি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির উজ্জ্বল নক্ষত্র তাজউদ্দীন আহমদ তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা ও আদর্শিক চিন্তাধারা দিয়ে নিজেকে সমাজের এক অনন্য মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, তাজউদ্দীন আহমদের চিন্তা সবসময় গণমানুষের কল্যাণ ঘিরে আবর্তিত ছিল। ছয় দফা ও সংবিধান প্রণয়নে তাঁর অন্যতম ভূমিকা ছিল। মানুষের মুক্তির জন্য তিনি সমাজতান্ত্রিক জাতীয়করণের প্রতি অগ্রসর হন। গরিব-মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মিলিয়ে চিন্তা করেন।

 

অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালের বিএসএস সম্মান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জন করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ছাত্রী ত্রপা সরকারকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ শান্তি স্বর্ণপদক’ এবং সানজিদা জামান রাইসাকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড বৃত্তি’ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রচনা প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে ‘তাজউদ্দীন আহমদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড পুরস্কার’ দেওয়া হয়। বিজয়ীরা হলেন- উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সুমাইয়া খানম, প্রাণিবিদ্যার রিফাত ফেরদৌস অনন্যা, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের আরজু আফরিন ক্যাথি এবং বাংলা বিভাগের সুহৃদ সাদিক ও ইফরাত জাহান।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারণে ১৯৭১ সালে দুঃখ-কষ্টের মধ্যে তিনি গোলাবারুদ, মানুষের আশ্রয়ের জায়গা, তাঁবু জোগাড় করেছেন। আজকের প্রজন্মের এগুলো জানা দরকার। তিনি যেসব কাজ করেছেন, তা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে, যাতে পরবর্তী প্রজন্ম এসব কথা বহন করে নিয়ে যেতে পারে।