জবির চার স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি

  • Update Time : ০৭:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • / 182

মিনহাজুল ইসলাম, জবি :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারটি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি (জবিরঙ্গ)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট প্রাথমিকভাবে চারটি স্থাপনার নামকরণের জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় নতুন প্রজন্মকে জবির কীর্তি জানাতেই জবিরঙ্গের এ উদ্যেগ।

রবিবার (২৭ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি (জবিরঙ্গ) জবির চার স্থাপনার নাম পরিবর্তনের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। উক্ত চারটি স্থাপনা হলো কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, ক্রীড়া চত্বর, দ্বিতীয় ফটক এবং নতুন একাডেমিক ভবন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রার সতের বছরের হলেও প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি দেশের প্রাচীন একটি শিক্ষা কেন্দ্র। নানা উত্থান পতনের মধ্যে থেকে আজও স্ব- গৌরবে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে টিকে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুগে যুগে অনেক কৃতি সন্তানদের পদচারণা প্রতিষ্ঠানটিকে করেছে গৌরবান্বিত। বর্তমান ক্যাম্পাসের সাত একর জায়গায় সকল সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।

প্রতি বছর নতুন শিক্ষার্থীরা উক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় উচ্চ শিক্ষা লাভের আশায়। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের উচিৎ দেশের তথা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা। যারা এই প্রতিষ্ঠানকে গৌরবান্বিত করেছে তাদের সম্পর্কে জানা । এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট প্রাথমিক ভাবে চারটি স্থাপনার নামকরণের জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছি। উক্ত স্থাপনা বা চত্বরের তেমন কোনো নাম দৃশ্যমান নয়। নামকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তথা সকলে ইতিহাসের কিছু অংশ সম্পর্কে জানতে পারবে।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় মিলানায়তনের নাম পরিবর্তন করে নূরুল মোমেন কেন্দ্রীয় মিলানায়তন রাখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ক্রীড়া চত্বরের নাম পরিবর্তন করে ব্রজেন দাস ক্রীড়া চত্বর, দ্বিতীয় ফটকের নাম পরিবর্তন করে জহির রায়হান ফটক এবং জবির নতুন একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে কিশোরীলাল রায় চৌধুরীর নামে নামকরণ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এদের মধ্যে জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৫৮ সালে পুরান ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্ম স্কুলকে ১৮৭২ সালে তিনি তার বাবার নামে জগন্নাথ স্কুল হিসাবে নামকরণ করেন।১৮৮৪ সালের ৪ জুলাই এটি স্কুল থেকে একটি দ্বিতীয় শ্রেণির উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে ও ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণীর স্নাতক কলেজে রূপান্তরিত হয়। এরপর ২০০৫ সালে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জবির চার স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি

Update Time : ০৭:২৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

মিনহাজুল ইসলাম, জবি :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চারটি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি (জবিরঙ্গ)। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট প্রাথমিকভাবে চারটি স্থাপনার নামকরণের জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় নতুন প্রজন্মকে জবির কীর্তি জানাতেই জবিরঙ্গের এ উদ্যেগ।

রবিবার (২৭ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রঙ্গভূমি (জবিরঙ্গ) জবির চার স্থাপনার নাম পরিবর্তনের জন্য উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। উক্ত চারটি স্থাপনা হলো কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, ক্রীড়া চত্বর, দ্বিতীয় ফটক এবং নতুন একাডেমিক ভবন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রার সতের বছরের হলেও প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি দেশের প্রাচীন একটি শিক্ষা কেন্দ্র। নানা উত্থান পতনের মধ্যে থেকে আজও স্ব- গৌরবে দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে টিকে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুগে যুগে অনেক কৃতি সন্তানদের পদচারণা প্রতিষ্ঠানটিকে করেছে গৌরবান্বিত। বর্তমান ক্যাম্পাসের সাত একর জায়গায় সকল সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।

প্রতি বছর নতুন শিক্ষার্থীরা উক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় উচ্চ শিক্ষা লাভের আশায়। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের উচিৎ দেশের তথা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা। যারা এই প্রতিষ্ঠানকে গৌরবান্বিত করেছে তাদের সম্পর্কে জানা । এরই ধারাবাহিকতায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট প্রাথমিক ভাবে চারটি স্থাপনার নামকরণের জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছি। উক্ত স্থাপনা বা চত্বরের তেমন কোনো নাম দৃশ্যমান নয়। নামকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী তথা সকলে ইতিহাসের কিছু অংশ সম্পর্কে জানতে পারবে।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় মিলানায়তনের নাম পরিবর্তন করে নূরুল মোমেন কেন্দ্রীয় মিলানায়তন রাখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ক্রীড়া চত্বরের নাম পরিবর্তন করে ব্রজেন দাস ক্রীড়া চত্বর, দ্বিতীয় ফটকের নাম পরিবর্তন করে জহির রায়হান ফটক এবং জবির নতুন একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে কিশোরীলাল রায় চৌধুরীর নামে নামকরণ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এদের মধ্যে জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী ছিলেন তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৫৮ সালে পুরান ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্ম স্কুলকে ১৮৭২ সালে তিনি তার বাবার নামে জগন্নাথ স্কুল হিসাবে নামকরণ করেন।১৮৮৪ সালের ৪ জুলাই এটি স্কুল থেকে একটি দ্বিতীয় শ্রেণির উচ্চ মাধ্যমিক কলেজে ও ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণীর স্নাতক কলেজে রূপান্তরিত হয়। এরপর ২০০৫ সালে তৎকালীন জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়।