নোবিপ্রবির উপাচার্যকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ

  • Update Time : ০৫:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২
  • / 167

এস আহমেদ ফাহিম, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার উল আলমকে নিয়ে জাতীয় দৈনিকে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের বিবৃতিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।ভবিষ্যতে এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার উল আলমকে নিয়ে একটি দুষ্টচক্র প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু সংবাদ পরিবেশন করছে। তথাকথিত এসব প্রতিবেদনের শিরোনামের সাথে বিষয়বস্তুর কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। মূলত একটি স্বার্থান্বেষী মহল উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য এ ধরনের বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছে যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম,ব্যবসা প্রশাসন অনুষদে ডিন নিয়োগে অনিয়ম, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকারকে চেয়ারম্যান পদে পূনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য,উপাচার্যের অনিয়মিত অফিস করা,বাংলাতো না থেকেও ভাতা গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন স্থবিরতা, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য মনোনয়নে অনিয়ম, অডিট রিপোর্টে নানা অনিয়ম উল্লেখ করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়,নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৯ সালের জুনে। যোগদানের পর থেকে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।উপাচার্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। যার ফলে ইতিমধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত স্পেনের সিমাগো ইনস্টিটিউট র‍্যাংকিং-২০২২ এর তালিকায় দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করেছে নোবিপ্রবি।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, করোনা মহামারিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে যা উপাচার্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিক্ষকদের দক্ষতা ও আন্তরিক সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও কোভিড ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নোবিপ্রবি। করোনা টেস্টে শতভাগ সাফল্যের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালীসহ সারাদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত জার্নালসমূহে নোবিপ্রবি শিক্ষকদের আবিষ্কার ও মূল্যবান গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে, যা দেশের শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদনেও নোবিপ্রবি দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সাথে র‍্যাংকিং-এ অনেক এগিয়ে গেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিভ্রান্তিকর ও বিকৃত সংবাদ মধ্যে যেন আর পরিবেশন করা না হয় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমরা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজ তথা দেশের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ অর্জন করা সম্ভব।ভবিষ্যতে এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নোবিপ্রবির উপাচার্যকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ

Update Time : ০৫:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০২২

এস আহমেদ ফাহিম, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(নোবিপ্রবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার উল আলমকে নিয়ে জাতীয় দৈনিকে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের বিবৃতিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।ভবিষ্যতে এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার উল আলমকে নিয়ে একটি দুষ্টচক্র প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, কল্পনাপ্রসূত, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু সংবাদ পরিবেশন করছে। তথাকথিত এসব প্রতিবেদনের শিরোনামের সাথে বিষয়বস্তুর কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। মূলত একটি স্বার্থান্বেষী মহল উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য এ ধরনের বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করেছে যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম,ব্যবসা প্রশাসন অনুষদে ডিন নিয়োগে অনিয়ম, বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকারকে চেয়ারম্যান পদে পূনর্বহালে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য,উপাচার্যের অনিয়মিত অফিস করা,বাংলাতো না থেকেও ভাতা গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন স্থবিরতা, রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য মনোনয়নে অনিয়ম, অডিট রিপোর্টে নানা অনিয়ম উল্লেখ করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়,নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৯ সালের জুনে। যোগদানের পর থেকে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।উপাচার্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। যার ফলে ইতিমধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত স্পেনের সিমাগো ইনস্টিটিউট র‍্যাংকিং-২০২২ এর তালিকায় দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২য় স্থান অর্জন করেছে নোবিপ্রবি।

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, করোনা মহামারিতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে যা উপাচার্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিক্ষকদের দক্ষতা ও আন্তরিক সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও কোভিড ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে নোবিপ্রবি। করোনা টেস্টে শতভাগ সাফল্যের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালীসহ সারাদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত জার্নালসমূহে নোবিপ্রবি শিক্ষকদের আবিষ্কার ও মূল্যবান গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে, যা দেশের শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদনেও নোবিপ্রবি দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সাথে র‍্যাংকিং-এ অনেক এগিয়ে গেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিভ্রান্তিকর ও বিকৃত সংবাদ মধ্যে যেন আর পরিবেশন করা না হয় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমরা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজ তথা দেশের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ অর্জন করা সম্ভব।ভবিষ্যতে এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হলে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।