নোবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনে আগুন, তদন্ত কমিটি গঠন
- Update Time : ০৯:১২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২২
- / 179
এস আহমেদ ফাহিম,নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের উৎস নিরুপণ,ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও ভবিষ্যতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড এড়াতে প্রয়োজনীয় করণীয় সহ সার্বিক বিষয়ে সুপারিশ জানাতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন শিক্ষা অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন রেজিস্ট্রার দপ্তরের স্টেট ও হাউজিং শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার গোলাপ হোসেন।
এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছে এমআইএস বিভাগের চেয়ারম্যান, নোয়াখালী জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সোনাপুর জোনাল অফিসের এজিএম আহমেদ ইমতিয়াজ কবির,নোবিপ্রবির পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কার্স অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) প্রকৌশলী ফিরোজ আহমেদ পাটোয়ারী ও সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মোঃমজিবুর রহমান,
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন মজুমদার ও সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের ৪র্থ তলার উত্তর পাশে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।তবে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট পরিমাণ ও সঠিক কারণ জানা যায় নি।
আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে আগুন লাগার সঠিক কারণ উদঘাটন করা যাবে।
বিকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বিভাগ পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দিদার উল আলম। এসময় আরো ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ আব্দুল বাকি,প্রক্টর অধ্যাপক ড.নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, রেজিস্ট্রার (অ.দা.)জসিম উদ্দিন, এমআইএস বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, উপাচার্যের একান্ত সচিব আবু জুবায়ের সহ কর্মকর্তা -কর্মচারীরা।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এমআইএস বিভাগের ২টি অফিস কক্ষ,৪০ টির অধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ,শতাধিক বই,নথি,প্রিন্টার,
স্ক্যানার, ইলেকট্রিক লাইন,ইন্টারনেট লাইন সহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।এছাড়াও বাংলা,টিএইচএম বিভাগ এবং ডিন অফিসে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।